কিশোরগঞ্জে বালু লুটের মহোৎসব রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
- শাহজাহান সিরাজ কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারির অভাবে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁড়ালকাঁটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটের মহোৎসব চলছে। সকাল থেকে রাত অবধি বাহাগিলি, চাঁদখানা, পুটিমারী ও নিতাই ইউনিয়নের ১৫-২০টি পয়েন্ট থেকে বালু লুট করছে একটি সিন্ডিকেট। এতে করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে চাঁড়ালকাঁটা নদী খনন করে খননকৃত বালু নদীর দুই তীরে স্তূপ করে রাখা হয়। গত ২০২৩ সালে চাঁড়ালকাঁটা নদীর এসব বালু নিলামে বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা লোকদেখানো টেন্ডারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে এসব বালুর লট নিজেদের নামে নিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করেন।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চাঁদখানা সারোভাষা ব্রিজের নিচ থেকে, বাহাগিলি ইউনিয়নের স্টিল ব্রিজের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে, বাহাগিলি ডাংপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান আতার বাড়ির পূর্বদিক, বাহাগিলি ময়নাকুড়ি সিনহা কোম্পানির সামনে, বাহাগিলি ঘোপাপাড়া, কালুরঘাট ব্রিজের পূর্বদিক, পাগলাটারী, নিতাই ইউনিয়নের মৌলভীরহাট, নিতাই পানিয়াল পুকুর, নিতাই মুশরুত বেলতলি, পুঁটিমারী ইউনিয়নের চৌধুরীর বাজার, কালিকাপুর ময়দানপাড়া, শালটিবাড়ি ও খোকারবাজারসহ প্রায় ২০টি পয়েন্টে নদী খননের রক্ষিত বালু দিনে রাতে শত শত মাহিন্দ্র ট্রাক্টর ও ড্রামট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে।
পুঁটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা হযরত আলি বলেন, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নামমাত্র মূল্যে নীলফামারী সদরের রোকনুজ্জামান ৮ নম্বর লটটির বালু পরিবহনের অনুমতি পান। সরকারিভাবে অনুমতি পাওয়ার কারণে রোকনুজ্জামান কৃষিজমি ও গ্রামের রাস্তাঘাট ভাঙচুর করে বালু পরিবহন করে। সরকারের পটপরিবর্তনের পর বর্তমানে অন্য একটি সিন্ডিকেট ক্ষমতার দাপটে ওই বালু পরিবহন করছে এবং গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে চুরমার করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক জানান, বাহাগিলি ইউনিয়নের আ’লীগ নেতা জুগল চন্দ্র গোপনে নদীর চরসহ ওই স্তূপকৃত বালু নিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর পাউবোর সাব ডিভিশন-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, বর্তমানে তিনটি লটের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবশিষ্ট লটের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় লটগুলোর বালু লুট হয়ে গেলে আমাদের করার কিছুই নেই, যা করার উপজেলা প্রশাসন করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হক বলেন, তিনটি লটের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাকি লটগুলোর বালু লুট করা রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা