ছাত্রদল নেতা জিসান হত্যা মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আসামি
- কাঞ্চন শিল্পাঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৪৬
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা জিসান হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীকে। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে রূপগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর (২০২৪) জিসানের বাবা আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে নাঈম (২৪) ও কামালসহ (৫২) মোট ৩০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির প্রবীণ নেতা তাইজুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামের দুই ছেলে সনজিব, সাগর, অংকন ভূঁইয়া, নুরু, লিমন ভূঁইয়া, সৈকত ভূঁইয়া, নাফিজ ভূঁইয়া, তানজিল ভূঁইয়া, রোমান, সায়মন, রাকিব মোল্লা, নজরুল ও শান্ত। এ ছাড়া, মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে রূপগঞ্জ বিএনপি নেতারা অবিলম্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, আওয়ামী নেতাকর্মীদের যোগসাজশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রহত্যার একটি মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
এ মামলাকে মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রকৃত আসামিকে আড়াল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপগঞ্জের বিএনপির সব নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সেই সব বিএনপির নেতাকর্মীকে দায়েরকৃত এ মামলায় কীভাবে আসামি করা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়।
অপরপক্ষে এ হত্যাকাণ্ড বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জিসানকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় সিকদার বাড়ির পাশে ঘাতক নাঈম জিসানকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তাদের বন্ধু সৈকত, অংকন ও জহিরুল স্থানীয় মুড়াপাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জিসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা