২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

বগুড়ায় ১৬ বছরে ৫ শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স

চার্জশিটভুক্ত আসামিরাও পেয়েছেন
-

আওয়ামী যুগের বিগত ১৬ বছরে বগুড়া জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে ৫০৪টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। লাইসেন্স প্রাপ্তিদের মধ্যে রয়েছে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিসহ অনেক বিতর্কিত ব্যক্তিরাও। তবে জেলা প্রশাসকের জেএম (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা) শাখা বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।
বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেএম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৫০৪টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২টি, সামরিক কর্মকর্তাদের নামে ৪২টি, অসামরিক (বেসামরিক) কর্মকর্তাদের নামে ৩৭টি, রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যক্তির নামে মোট ৩৯৩টি পিস্তল, রিভলবার, শর্টগান ও বন্দুক। এসব অস্ত্রের মধ্যে থানায় জমাযোগ্য অস্ত্রের সংখ্যা ৩৬৪টি। এর মধ্যে আটটির লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে বাতিল করেছে সরকার। এ ছাড়া অস্ত্র হারিয়ে যাওয়া বা জমা না দেয়ার কারণে দুই ব্যক্তির নামে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃটিশ শাসনামলে ১৮২১ সালে বগুড়া জেলা ঘোষণার পর থেকে অদ্যাবধি বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় ৯৫০টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করে। এর মধ্যে আওয়ামী আমলের ১৬ বছরে অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫০৪টি লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এখানে নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের ঢালাওভাবে লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মামলার চার্জশিটভুক্তসহ (অভিযোগপত্র) আওয়ামী লীগের অনেক দুর্বৃত্ত বিগত ১৬ বছরে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। তবে, তাদের অনেকের নিকট বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রও রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব অবৈধ অস্ত্র বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনে ব্যবহৃত হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। কিন্তু এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে চোখে পড়ার মতো বিশেষ কোনো অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের ব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হোসনা আফরোজা বলেন, সরকারের নিয়মের বাইরে কেউ লাইসেন্স পেতে পারেন না। যদি কেউ পেয়ে থাকেন তাহলে সেটি নিয়ম ভঙ্গই হয়েছে। তিনি অবশ্য লাইসেন্সপ্রাপ্তদের পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা : পদত্যাগের ঘোষণা ইসরাইলি সেনাপ্রধানের জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির কাশেম মণ্ডলের পিএইচডি অর্জন আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার স্বীকৃতি চায় ময়মনসিংহ যুক্তরাষ্ট্রে আরো রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ‘ছাত্রশিবিরের নামে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল’ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে আইজিপির নির্দেশ নাইকো দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কেয়া গ্রুপের আরো ২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জার্মানি গাজীপুরে ঝুটের ৩টি গুদামে আগুন

সকল