কপোতাক্ষ নদে নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁশের সাঁকো
- কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ নদের ওপর ৩০০ বাঁশ আর ৩২টি দেবদারু গাছ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ হচ্ছে। সরকারি অনুদান আর এলাকাবাসীর উদ্যোগে করা ফান্ডের টাকায় কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। কমিটির লক্ষ্য আসছে ২৪ জানুয়ারি কবির জন্ম উৎসব পালনে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলায় মধু ভক্তদের যাতায়াতে কোনো সমস্যা না হওয়ার বিষয়টি মাথায় নিয়ে এ কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানালেন, কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা আকবর আলী শেখ। তিনি বলেন, এ কাজে ব্যয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২ টন চাল দিয়েছেন।
১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস ঘোষণা দিয়েছিলেন সাগরদাঁড়িতে কপোতাক্ষ নদের ওপর অচিরেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এ ঘোষণার ৩০ বছরেও ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। অথচ ব্রিজটি নির্মাণ হলে কেশবপুরের সাথে দূরত্ব কমতো ২০ কিলোমিটার। সাতক্ষীরা কলারোয়ার মানুষ যশোর, খুলনায় যাতায়াতে কেশবপুর হয়ে অনেক কম রাস্তা পাড়ি দিতে হতো। যশোর, খুলনা জেলার মানুষও এ ব্রিজটি পার হয়ে অনেক কম রাস্তা অতিক্রম করে সাতক্ষীরা এমনকি শ্যামনগর উপজেলা ও সুন্দরবন দেখতে বা ভোমরা বর্ডার পার হতে মানুষের কম রাস্তা অতিক্রম করতে পারতো। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ব্রিজটি নির্মাণ কবে বাস্তবায়ন হবে এ প্রশ্ন তাদের মুখে মুখে।
প্রত্যেক বছর নদের স্রোত আর শেওলার চাপে সাঁকোটি ভেঙে যায়। নদের পশ্চিম পাড় এলাকার কলারোয়া ও তালা উপজেলার শার্শা, কৃষ্ণনগর, ধানদিয়া, সেনেরগাতি, কুটিঘাটা, সানতলা, সরুলিয়া, পাঁচপোতা, ফুলবাড়ি, জয়নগর গ্রামসহ এলাকার বেশ কিছু গ্রামের মানুষের চলাচল সাগরদাঁড়িতে। এলাকার বহু ছাত্র-ছাত্রী সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ সম্মিলনী কলেজ ও সাগরদাঁড়ি এম এম ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সাগরদাঁড়ি দাখিল মাদরাসা, সাগরদাঁড়ি হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করে থাকে। তা ছাড়া নদের পূর্বপার্শ্বের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি, নেহালপুর, শেখপুরা, বগা, চিংড়া, ঝিকরা, বিষ্টুপুরসহ বিভিন্ন গ্রামবাসীর চলাচল ও কলারোয়া ও তালা উপজেলার উল্লেখিত গ্রামগুলোতে। কপোতাক্ষ নদের এপার ওপার এসব গ্রামবাসীর ৪ চাকার গাড়িতে যাতায়াত করতে হয় ১০-১৫ কিলোমিটার ঘুরে।
এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা আকবর আলী শেখ জানান, নদের দুই পাড়ের লোকদের নিয়ে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। আর কলারোয়া উপজেলার ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন খান এ দু’জনকে সাঁকো নির্মাণ কমিটির উপদেষ্টা করা হয়েছে। সাঁকো নির্মাণে ক্রয় করা হয়েছে ৩০০টি বাঁশ, অনুদান হিসেবে আনা হয়েছে ৩২টি দেবদারু গাছ। ইতোমধ্যে কাজের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২৪ জানুয়ারির আগেই সাঁকো নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
সাংবাদিক রাজ্জাক আহমেদ রাজু জানান, কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। প্রতি বছর মধুমেলার উদ্বোধকসহ আগত অতিথিদের কাছে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি করলেও কর্তৃপক্ষের কর্ণকুহরে না পৌঁছানোর কারণ এলাবাসীর অজানা রয়ে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা