২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে বেড়েছে পরিযায়ী পাখি

শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে বেড়েছে পরিযায়ী পাখি -

প্রতি বছরের মতো এবারো শীতের শুরু থেকেই পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একমাত্র দেশীয় মাছের অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অতিথি পাখির আগমন বেড়েছে। আর তাই বাইক্কা বিলের অপার সৌন্দর্য, জলজ সম্পদ আর অতিথি পাখির আগমনের সাথে সাথে বিলের সৌন্দর্য দেখতে দর্শনার্থীদেরও সমাগম ঘটছে বিলের পাড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাইক্কা বিল নিয়ে গঠিত ‘বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক মো: মিন্নত আলী বলেন, ‘প্রতি বছর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে। গত কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখির আগমন কম হলেও এবার সেই সংখ্যা বেড়েছে। তবে শিকারিদের উৎপাত আর পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় এবার পাখিরা অনেক সতর্ক অবস্থায় বিলের পশ্চিম পাশে ঝোপঝাড়ে অবস্থান করছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে ড. পল থম্পসন নামে একজন পাখি বিশেষজ্ঞ প্রতি বছর বাইক্কা বিলে এসে পাখি গণনা করেন। এবারো বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে গত শনিবার পরিযায়ী পাখি গণনা করে গেছেন। তার দেয়া তথ্যমতে এবার ৩৮ প্রজাতির ৭৭৮০টি জলচর অতিথি পাখি এসেছে বাইক্কা বিলে। যা গত বছর ছিল ৩৩ প্রজাতির ৪৬১৫টি পাখি।’
বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছোবহান জানান, ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের বংশ রক্ষার্থে হাইল হাওরের তিনটি বিলের সমন্বয়ে ৩০০ হেক্টর আয়তনের জলাভূমিকে একটি স্থায়ী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। তখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বাইক্কা বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। বাইক্কা বিলের ৩০০ হেক্টরের জন্য ছয়জন বিল প্রহরী দায়িত্ব পালন করছেন।
সরেজমিন কুয়াশায় মোড়ানো এক সকালে বাইক্কা বিলে গিয়ে দেখা যায়, বিলের চারদিকে সুনসান নীরবতার মধ্যে পরিযায়ী পাখি কিচিরমিচির ডাকছে আর উড়া-উড়ি করছে। এ সময় ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর শীত মৌসুমে পাখির ছবি তুলতে আসি। বিলে এবার তিলা লালপা, ভূতিহাঁস, গিরিয়াহাঁস, পিয়ংহাঁস, পাতিকুট, পানমুরগি, বেগুনি কালেম, মেটেমাথা টিটিসহ অন্যান্য পাখির দেখা মিলেছে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহ্বায়ক আ স ম সালেহ সোহেল বলেন, বাইক্কা বিলের আশপাশে নিয়মিত ফিশারি তৈরি ও হাওরের বিভিন্ন বিল সেচে জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণে পাখিরা নিরাপদ অনুভব করছে না। পাখি রক্ষায় প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, পাখি শিকার রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন বলেন, বাইক্কা বিল ও পরিযায়ী পাখি রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং হাওরের পরিবেশ সংরক্ষণে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement
কারওয়ান বাজার থেকে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ আড়াইহাজারে অটোরিকশা উল্টে নিহত ১ রোনালদোর জোড়া গোলে আল নাসেরের জয় ঢাবিতে গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে : ট্রাম্প জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস ডার্কওয়েব সিল্ক রোডের উদ্ভাবক রস উলব্রিক্টকে ক্ষমা ট্রাম্পের বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, নিরাপদে অবতরণ লন্ডন ক্লিনিকে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা ৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়ায়-আরিচায় নৌযান চালাচল শুরু

সকল