২৩ শিক্ষক-কর্মকর্তার বাধায় প্রাচীর নির্মাণে স্থবিরতা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়- এস এম মোজতাহীদ প্লাবন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পার হলেও শেষ হয়নি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজ। উদ্যোগ নেয়া হলেও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বারবার। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বাধার মুখে এবারো আটকে গেল বহুল প্রতীক্ষিত এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ।
জানা যায়, এর আগে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর ড. সৌমিত্র শেখর দে। দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনি প্রায় ১৫০০ মিটার দীর্ঘ সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। যা এক বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অসমাপ্তই রয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হলেও গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্থানীয়রা নতুন বিজ্ঞান ভবন, বঙ্গমাতা হলসংলগ্ন দেয়াল, বটতলা ও চুরুলিয়া মঞ্চসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া জঙ্গলবাড়ি, নিমাইসিটি ও চারুদ্বীপসংলগ্ন এলাকার সীমানা প্রাচীরের কাজ নিয়ে শুরু হয় সঙ্কট।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনীর অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার কথা জানান। সেই সাথে গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য প্রধান দুটি গেইট ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে এবারো বাধার সম্মুখীন হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত তারিখ পার হলেও সম্পন্ন হয়নি সীমানা প্রাচীরের অসম্পন্ন কাজ। একদল স্থানীয় বাসিন্দা বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দেখা করে মৌখিকভাবে আবেদন জানায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভিসির কাছে লিখিত আবেদন জানান। ভিসি তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। সেই সাথে তাদের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিকল্প রাস্তা তৈরির কথা বলেন।
ভিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সেক্রেটারি ড. সোহেল রানা, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ড. নজরুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সঞ্জয় মুখার্জি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আসিফ ইকবাল আরিফসহ মোট ২৩ শিক্ষক-কর্মকর্তা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রাচীর নির্মাণ হলে তাদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। ক্যান্টনমেন্টেও একাধিক রাস্তা বা পকেট গেট থাকে উল্লেখ করে মেস মালিক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগেই এখানে রাস্তা ছিল। হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দিলে আমাদের সমস্যা হবে। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্যান্টনমেন্টেও একাধিক রাস্তা খোলা রাখা হয়।’ এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষক নেতা ড. সোহেল রানা বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলেছি। কারণ আমাদের তো বিকল্প রাস্তা নাই।
প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তারিখ বাড়ানো আছে। তারপরই দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় প্রধান ফটকগুলো ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় লোকদের মৌখিক আবেদন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিকল্প রাস্তা নির্মাণের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা