ভাতার কার্ড দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিলেন যুবলীগ নেতা
- শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বগুড়ার শিবগঞ্জে ভাতার কার্ড করে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পরেও এলাকার দরিদ্রদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম আব্দুল আলিম (৩৫)। তিনি উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মছির উদ্দিনের ছেলে ও ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুবলীগ নেতা আব্দুল আলিম আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অসহায়, দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আট থেকে ১০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। টাকা নিয়ে ভাতা কার্ড না করে দিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টাকা চাইতে গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি-ধামকি দেন এই যুবলীগ নেতা।
ভরিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মাহাবুলের স্ত্রী পেয়ারা বেওয়া (৬০) জানান, বিশ বছর আগে আমার স্বামী মারা যান। তারপর পরিবারে আয় রোজগার করার মত কেউ না থাকায় সংসারে অভাব অনটন আসে। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। বছর খানিক আগে যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নেয়। এখনো কার্ড করে দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। টাকার কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা করে। আবার বলে যে, ‘এখন তো আওয়ামী লীগ সরকার নাই। সরকার আবার আসুক তারপর কার্ড করে দেবো।’
একই এলাকার মৃত হেদায়েতুল ইসলামের স্ত্রী হাওয়া বেগম জানান, আব্দুল আলিম বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। পরে আর কার্ড করে দেয়নি। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছে। আবার বলে যে, টাকা নেয়ার কোনো প্রমাণ নাই। টাকা দিতে পারব না। কিভাবে আদায় করবে করো।
এই ভুক্তভোগী আরো জানান, কিছুদিন আগে আলিমের সাথে দেখা হলে তাকে টাকার কথা বলি। তখন সে আমাক মারার জন্য তেড়ে আসে এবং ধাক্কা দিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। আমরা অসহায় তাই প্রতিবাদ করতে পারিনি।
যুবলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করেন ওই এলাকার মৃত মোবারক গাছুর ছেলে আব্দুল হাই গাছু ও মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে বাবলু প্রামাণিক।
এ বিষয়ে আব্দুল আলিম বলেন, যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কার্ড আর করে দিতে পারব না। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের টাকা ফেরত দেবো।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা