৪ বছর আগে মেয়াদ পার শেষ হয়নি ভবন নির্মাণ
- সেলিম রেজা গোপালগঞ্জ
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গোপালগঞ্জে ঠিকাদারের গাফিলতি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত আরো চার বছর পার হলেও শেষ হয়নি গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ। ফলে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাত কোটি ৯৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ টাকা ব্যয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরাধীন ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চমতলা বিশিষ্ট নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পায় পিআরপি অ্যান্ড পিসি (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের জুন মাসে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী ১৮ মাস অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ না করে এরই মধ্যে দুইবার সময় বৃদ্ধি করেছে। এদিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরো চার বছর পার হলেও নির্মাণ কাজের ৭০ ভাগও শেষ করতে পারেনি প্রকৌশল অধিদফতর।
এ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক জানান, ক্লাস রুমের এবং ল্যাবরেটরি রুমের সঙ্কটের কারণে শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে ৫তলা ভবনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই ৬৪ প্রজেক্টের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, আলমারি, ড্রইং টেবিলসহ অনেক মালামাল তারা নিয়ে এসেছে। সেগুলো রাখার জায়গা না থাকায় পুরনো ভবনের বারান্দায় রাখা হয়েছে। ইলেকট্রনিকস গুডসগুলো রুমের সঙ্কটে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল্যাবে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে সেগুলো নষ্ট হচ্ছে এবং খোয়া যাচ্ছে। কম্পিউটার ও ইলেকট্রিনিকস ডিপার্টমেন্টে ল্যাবরেটরি থাকার কথা দ্ইু/তিনটা, সেখানে ল্যাবরেটরি একটি দিয়ে কোনো রকম জোড়া তালিতে ব্যবহারিক ক্লাসগুলো চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ভবনটি খুবই জরুরি।
গোপালগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আয়ুবুর রহমান বলেন, কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। ভবন সঙ্কটের কারণে পাঠদানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ল্যাবের জিনিসপত্র বাইরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকারী পিআরপি অ্যান্ড পিসি (জেভি)-এর ঠিকাদার তোরাব হোসেন বলেন, ১৪ সালের রেটে কাজ করতে গিয়ে আমি কিছুটা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছি। সে কারণে ভবনের কাজ শেষ করতে কিছুটা বেশি লাগছে। তবে ভবনের কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, এ বছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব।
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির বিষয়ে অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। জরিমানাও করা হয়েছে। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক সুব্রত পাল বলেন, ঠিকাদার কাজ করছেন না। এ জন্য বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ভাবে ভবনটি ফেলে রাখার কোনো যুক্তিকতা নেই। আমরা একটা মিটিং করে কাজ বাতিল করে রি-টেন্ডার করতে যাচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা