২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬
`

তালতলীতে নিষিদ্ধ বেহন্দি জাল দিয়ে চিংড়ি আহরণ

নজরদারির অভাবে তালতলীতে বেড়েছে বেহন্দি জালের ব্যবহার : নয়া দিগন্ত -


বরগুনার তালতলীতে বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিষিদ্ধ ছোট ফাসের বেহন্দি জাল দিয়ে দেদারসে ভুলা চিংড়ি (ছোট চিংড়ি) আহরণ করছে জেলেরা। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চিংড়ি ভুলা (ছোট চিংড়ি) আহরণ করে থাকে। এসব চিংড়ি মাছের সাথে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন হচ্ছে। সেই সাথে ধ্বংস হচ্ছে সামূদ্রিক নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য। সর্বোচ্চ ১ ইঞ্চি ও তার ছোট সাইজের এ চিংড়ি মাত্র ৯০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। স্থানীয়ভাবে এ চিংড়ি মাছকে ভুলা চিংড়ি বলা হয়। এটি বড় মাছের খাদ্য সুশৃঙ্খল হিসেবে পরিচিত। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করায় এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক মৎস্যসম্পদসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এ খাতের গবেষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালতলীর ফকিরঘাট, হাঁসারচর, নিশানবাড়িয়া, নিদ্রাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিষিদ্ধ বেহন্দি জাল দিয়ে ভুলা চিংড়ি আহরণ করছে অন্তত ৪ শতাধিক জেলে। স্থানীয় আড়ৎদার ও চাতাল মালিকরা দাদন দিয়ে দরিদ্র জেলেদের সাগরে পাঠাচ্ছে এ ভুলা চিংড়ি শিকারের জন্য। আবার অনেক আড়ৎদার ট্রলার জাল ও জালানি তেলসহ সব সরঞ্জাম কিনে দিয়ে সাগরে পাঠাচ্ছেন জেলেদের।
শুধু ফকিরঘাট বাজারের বিএফডিসি ঘাট থেকে প্রতিদিন ৭০-৮০ টন ভুলা চিংড়ি স্থানীয় অড়ৎদারের মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ সারা দেশে চালান করে বিক্রি করছে। ফকিরঘাট ছাড়াও অন্যান্য স্পটে এর আড়ৎ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন মাছ বিক্রি হচ্ছে। জেলরা সমুদ্র থেকে অন্য মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী বেছে ফেলে দিয়ে শুধু চিংড়ি নিয়ে আসেন। ফকিরঘাট কোস্টগার্ড, নিদ্রা নৌ পুলিশ তালতলী মৎস্য অফিসসহ সব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নামমাত্র দু’-একটি অভিযান পরিচালনা করলেও বন্ধ হচ্ছে না ভুলা চিংড়ি শিকার।

তালতলী উপজেলার ফকিরঘাটের কয়েকজন জেলে বলেন, ‘আমরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফকিরঘাটের একাধিক জেলে জানান, নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ভুলা মাছ ধরার জন্য প্রতি গোনে (আমাবস্যা-পূর্ণিমা) আমাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়। সোনাকাটা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ফকিরঘাট মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সেক্রেটারি মজিবর ফরাজী চাদার টাকা আদায় করেন বলে জেলেরা জানান। তবে মজিবর ফরাজি এ চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করেন।
এ বিষয় তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর ভাইন বলেন, আমাদের নামে চাঁদা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এটি সত্য নয়, ছোট ফাসের বেহন্দি জাল দিয়ে ভুলা মাছ শিকার করা অবৈধ, তবে আমরা প্রতি মাসে অভিযান পরিচালনা করলেও মাছ পাই কিন্তু মাছ শিকারের জাল পাওয়া যায় না। এ সব অবৈধ জাল পেলে আমরা অগুন দিয়ে পুড়ে বিনষ্ট করে দেই।


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ায় জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতিতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মেধাবী ও আদর্শবানদের দলে আনার আহ্বান তারেক রহমানের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা : কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফল স্থগিত দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে আত্মঘাতি বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান রেজাউল করিমের ভূমি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা-বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে : মির্জা ফখরুল ৮ দফা না মানলে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ঘোষণা বিজয়কে সরিয়ে তাসকিনকে অধিনায়ক করল রাজশাহী জাতিসঙ্ঘের নির্বাচনী মিশনের সাথে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত সিরাজদিখানে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা, গুরুতর আহত ৬ চীনে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল