২৫ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদনে কাজ করতে হবে বিজ্ঞানীদের

‘একসময় আমাদের সাড়ে সাত কোটি জনগণ ঠিক মতো খাবার পেতেন না। বর্তমানে আমাদের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞানীদের সাফল্যে ১৮ কোটি লোকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে। আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি থেমে নেই। তাই এখন থেকেই আমাদের বর্ধিত ২৫ কোটি জনসংখ্যার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে কাজ করতে হবে।’ গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৩-২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ কথা বলেন। গাজীপুরের ব্রি সদর দফতর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমিন খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি। কর্মশালায় গবেষণা অগগ্রতি ও অর্জন ২০২৩-২৪ উপস্থাপন করেন ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. রফিকুল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. আনোয়ারুল হক।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ব্রি’র কার্যক্রম জাতীয় গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যার ফলে ব্রি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করছে। ব্রি’র এ অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তিনি কৃষিবান্ধব কৃষিশিল্প, কৃষি অর্থনীতি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি সচিব কৃষির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্রি নিরলসভাবে কাজ করছে। ব্রি’র গবেষণা কার্যক্রম বিশ্বের কাছে উদাহরণ। ব্রি’র মহাপরিচালক জানান, ভাতের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্রি গবেষণা আরো জোরদার করেছে।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ৮০ ভাগ জমিতে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতের চাষাবাদ হচ্ছে এবং এর থেকে আসে দেশের মোট ধান উৎপাদনের শতকরা ৯০ ভাগ। ব্রি এ পর্যন্ত আটটি হাইব্রিডসহ মোট ১১৫টি উফশী ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে, যার মধ্যে বেশ কটি প্রতিকূল পরিবেশ সহনশীল এবং উন্নত পুষ্টি গুণসম্পন্ন।