কাউখালীতে চালের দাম বৃদ্ধি বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
- রিয়াদ মাহমুদ সিকদার কাউখালী (পিরোজপুর)
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পিরোজপুরের কাউখালীতে ভরা মৌসুমে চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভোগান্তির শেষ নেই। ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ কোথায় প্রতিবাদ করবে তার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা বুলেট চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমন মোটা চাল ৬২ টাকা থেকে ৬৪ টাকায়, প্রকারভেদে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়। স্বর্ণা চাল ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৭৬ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাউখালী দক্ষিণ বাজারের চাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ও পলাশ সাহা জানান, গত ১৫ দিনে চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী ধানের সরবরাহ কম বলে মিলাররা বলছেন। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে যে চাল উৎপন্ন হয় তা দিয়ে বছরে তিন-চার মাসের চাহিদা মেটানো যায়।
উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মতো এ অঞ্চলের চাল ব্যবসায়ীদের উত্তরবঙ্গের মিলের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। তারা যখন যে রেট দেন, সেই রেটেই আমাদের চাল ক্রয়-বিক্রয় করতে হয়। তিনি আরো বলেন, ২৫ কেজি চালের বস্তায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাল ক্রয় করতে আসা অটোচালক আবুল হোসেন ও দিনমজুর শুকুর আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘মোরা আগে জানতাম ভরা মৌসুমে (পৌষ, মাঘ ও ফালগুন মাস) চালের দাম কম থাকে। এখন দেখি তার উল্টোটা। মোগো কথা কে ভাবে’। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করলে চাল দামসহ নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভেতরে চলে আসবে।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছে। কাউখালীতে ইতোমধ্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে চালের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। ইউএনও আরো বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চাল মজুদ ও দাম বৃদ্ধি করেন তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা