বগুড়ায় জমঈয়তে আহলে হাদিসের কাউন্সিল ঘিরে মুখোমুখি দুই পক্ষ

বগুড়া জেলা জমঈয়তে আহলে হাদিসের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ শনিবার বগুড়ায় এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানান অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার একপক্ষের আয়োজনে অনুুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সিনিয়র সদস্য মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘মসজিদ ও মাদরাসার আর্থিক বিষয়ে অডিট করে দেখা যায়- সংগঠনের সেক্রেটারি আ ন ম ইয়াহইয়া দুই লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৩১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মসজিদের জন্য ক্রয়কৃত চার লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের চারটি এসি মুসল্লিদের অবহিত না করে নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করছেন। তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের একজন মহিলা স্টাফকে ধর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চার লক্ষ টাকায় আপস-মীমাংসা করে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন, যা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি বিগত ৬-৭ বছরের জেলা জমঈয়ত ও মসজিদের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব প্রদান করেননি। বিতাড়িত আওয়ামী ফ্যাসিস্টের ঘাড়ে ছওয়ার হয়ে তিনি জেলা জমঈয়তের সেক্রেটারি, মসজিদে মুবারকের সেক্রেটারি, উক্ত মসজিদের ও বগুড়া জিলা স্কুল ঈদগাহ মাঠের ইমামতির পদ দখল করে আছেন। এ দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ২০২৪ সালের ১০ আগস্টে তিনি আবার জেলা জমঈয়তের পাতানো কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিলে আলেম সমাজ ও কাউন্সিলরগণ তা রুখে দেন।
এ দিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বগুড়া প্রেস ক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন বগুড়া জেলা জমঈয়তে আহলে হাদিসের জেনারেল সেক্রেটারি আবু নছর মুহাম্মদ ইয়াহইয়া। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মসজিদে মুবারকের ও মাদরাসার দুই লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা আত্মসাতের দাবিসহ সব অভিযোগ মিথ্যা। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।