যাদুকাটা নদীতে সেতু নির্মাণ ৬ বছরেও শেষ হয়নি
- তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ সুনামগঞ্জ
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া যাদুকাটা নদীর ওপরে নির্মিতব্য সেতুটি ছয় বছরেও শেষ হয়নি। ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি নির্মিত হলে সুনামগঞ্জে পর্যটনে এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অথচ ঢিমেতালে চলা এই সেতুটির নির্মাণ কাজ কবেনাগাদ শেষ হবে, তা এখনো জানেন না কেউ।
ধীর গতিতে চলছে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী গ্রামের মধ্য দিয়ে যাদুকাটা নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ। কাজটি শুরু হয় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের এলজিইডি পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। তমা কনস্ট্রাকশন নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। নির্মাণ কাজ আড়াই বছরের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে না পারায় আরো চারবার সময় বাড়িয়ে নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবুও তারা সেতু নির্মাণ সমাপ্ত করতে পারেননি।
৭৫০ মিটার দৈর্ঘের এই সেতুটি জেলার সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু হবে। এ পর্যন্ত সেতুর ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে মাত্র কয়েকটি এবং ১৫টি স্লাবের মধ্যে মাত্র ১০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাঝখানে ১৮টি গার্ডার ও পাঁচটি স্লাবের কাজ এখনো বাকি। গত জুন মাসের সময় বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় আরো দুটি গার্ডার ভেঙে পড়ে বলে জানা যায়। সেতুটির নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও ঢিলেমি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প ম্যানেজার মোহাম্মদ নাসির বলেন, বন্যা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্মাণকাজ বিলম্ব হচ্ছে। তবে আগামী জুনের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করার কথা।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঠিকাদারদের কিছুটা অবহেলার কারণে বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ কাজ। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা