নৌ-ঘাটের জেটি ও পন্টুন ভাঙাস ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের চলাচল
সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার- হাসান মাহমুদ রিপন সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ)
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৯
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যেরবাজার নৌ-ঘাটে যাত্রী ও মালপত্র ওঠানামা করার জেটি ও পন্টুন ভেঙে যাত্রী চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন এই ঘাটে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। গত বর্ষা মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় রুমেলে এ ঘাটের পন্টুন ও জেটি ভেঙে যায়। গত ৮ মাসেও বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঘাটটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে চলাচল করতে হচ্ছে। ঘাট মেরামতের জন্য ইজারাদার শফীকুল ইসলাম বাবু বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো সারা পাননি। এ ঘাটে চলতে গিয়ে পড়ে আহত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত হয়। সন্তানটিও মারা যায় তার। এ ছাড়াও মাঝে মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার নৌ-ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, কুমিল্লার মেঘনা, হোমনা, বাঞ্ছারামপুর ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ ছাড়াও হাসপাতালসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা নিতে মানুষ এ ঘাটটিই ব্যবহার করে। গত বছরের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রুমেলে বৈদ্যেরবাজার ঘাটের জেটি, পন্টুন প্রভৃতি ভেঙে যায়। ভাঙা স্থান দিয়েই এখন জন সাধারণকে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ চলাচল করে। স্থানীয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ ঘাট ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদাসীনতায় মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, এমন গুরুত্বপূর্ণ জেটিটি এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও রেলিং ভেঙে গেছে, বিভিন্ন স্থানের কাঠ উঠে গেছে বা ভেঙে গেছে। যাত্রীদের পন্টুন থেকে নামতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের মালপত্র ওঠানামা করতে বেশ বেগ পেতে হয়।
মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, বৈদ্যেরবাজার ঘাট ব্যবহার করে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত করেন পর্যটকরা। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে মেঘনা নদী, মেঘনা উপজেলার দর্শনীয় বিভিন্ন চর ও বারদীর নুনেরটেক মায়াদ্বীপে দেশী ও বিদেশী পর্যটকরা অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করে থাকেন।
নুনেরটেক মায়াদ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক আসাদুজ্জামান ও রিপা দম্পত্তি বলেন, এ পথ ব্যবহার করে এতো সুন্দর পর্যটন এলাকায় যাওয়ার জেটিটি বিধ্বস্ত ও জরাজীর্ণ। মনে হচ্ছে, যেকোনো সময় জেটিটি ভেঙে পড়ে যাবে। আলমগীর হোসেন নামের আরেক পর্যটক বলেন, জেটিটি সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কোথাও রেলিং নেই, কোথাও কাঠের পাটাতন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় ভাঙা জেটি থেকে যে কেউ পানিতে পড়ে যেতে পারে।
বৈদ্যেরবাজার নৌ-ঘাটের শুল্ক আদায়ের ইজারাদার শফীকুল ইসলাম বাবু জানান, ঘাটটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পন্টুন থেকে নামার জন্য বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। ঘাট মেরামতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ মেঘনা ঘাট বন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, এ স্টেশনে নতুন যোগদান করেছি। বৈদ্যেরবাজার ঘাট পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা