নিকলীতে বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
- আলি জামশেদ নিকলী (কিশোরগঞ্জ)
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল নিয়ে বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় এখন পুরো উপজেলা। এর রেশ ছড়িয়ে পড়েছে জেলা পর্যন্ত। ভোটারদের উপস্থিতিতে কাউন্সিলের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে দায়িত্বে থাকাদের সিদ্ধান্তই। প্রবাসে অবস্থান করেও আওয়ামী লীগ সমর্থনকারী একজন বাগিয়ে নিয়েছে বিএনপির একটি পদ।
জারইতলা ইউনিয়নে মানববন্ধন করে এমন অভিযোগ করেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। অভিযোগের তীর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। জেলাপর্যায়ে লিখিত অভিযোগেও মেলেনি প্রতিকার। উল্টো জেলাপর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স¤প্রতি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের কাউন্সিলর নির্বাচিত করাকে কেন্দ্র করেও অর্থনৈতিক সুবিধা নেয়ার বিষয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ছয়টি ইউনিয়নে পকেট কমিটি হলেও শেষ পর্যন্ত তোপের মুখে গত ৭ জানুয়ারি সদর ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নে দ্বিবার্ষিক কর্মী সম্মেলন ও কমিটি গঠন উপলক্ষে কাউন্সিল হয় আঠার বাড়িয়া ইউপি কমপ্লেক্সের সামনে। সেখানে নতুন কমিটি গঠন না করে আগের কমিটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। জারইতলাতে ৯টি ওয়ার্ডে সভাপতি ও সম্পাদকের সংখ্যা ১৮। মোট ভোটার ৪৫৯ জন। সেখানকার ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১২ জনের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি গত ১৬ নভেম্বর উপজেলার আহ্বায়ক বরাবর জমা দেয়া হয় । অনুলিপি পাঠানো হয় জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতেও। এত কিছুর পরও ঢাকায় বসেই কমিটি গঠন করা হয়। সৌদি আরবে অবস্থান করেও জারইতলায় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন একজন।
এই কমিটির বিরুদ্ধে স্থানীয় রোদার পুড্ডা বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বক্তারা বিতর্কিত লোকদের হাতে অর্থিক সুবিধা নিয়ে পদ পদবি দেয়াকে কলঙ্কজনক বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া নিকলী সদরের ৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সদস্য হন সুমন সাহা। তিনি ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন। আওয়ামী লীগের নিকলী-বাজিতরপুর নির্বাচনী এলাকার সাবেক এমপি আফজালকে মাল্যদানের স্থির চিত্রও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছিল ভাইরাল। এখন তিনি বিএনপির পদধারী। এ বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করলেও তিনি আওয়ামী লীগে নেই বলে স্বীকার করেন। এমন অনেক চিত্র পুরো উপজেলায়।
নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে যখন কমিটি গঠন করা হয় তখন মূলত দুটো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই অবলম্বন করা হয়। স্থানীয়দের অধিকাংশের দাবির ওপর নির্ভর করেই কমিটি তাই করা হয়েছে। তিনি অর্থনৈতিক লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির অনিয়মের অভিযোগ বিষয়টি অবান্তর ও গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেন।
এদিকে আগামীকাল নিকলী উপজেলার বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ঢাকায় ফিলে কমিটি নয়, বরং এলাকার নেতাকর্মীদের সমর্থনে বেরিয়ে আসবে যোগ্য নেতৃত্ব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা