১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জনবল সঙ্কটে বন্ধ এক্স-রে আল্ট্রাসনো ও সিজার

-

বছরের শুরুতেই ডাক্তারসহ জনবল সঙ্কটে পড়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসকের ২৭টি পদে ১২ জন চিকিৎসক থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ৯ জন চিকিৎসক। গত ডিসেম্বরে এনজিওগুলোর প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলে যান তারা। ফলে জানুয়ারির প্রথম থেকে জরুরি সেবার সিজার বিভাগ ও আল্ট্রাসনোগ্রাফী বিভাগ বন্ধ হতে চলেছে। এ ছাড়া রেডিওগ্রাফার না থাকায় এক বছর ধরে এক্স-রে বিভাগও বন্ধ হয়ে আছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৩৫ পদের মধ্যে এখন কর্মরত আছেন মাত্র ৬২ জন। ৭৩টি পদ খালি। সরকারি পদে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে একটি এনজিও’র দুইজন কর্মচারী কাজ করছেন। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে সরকারি দুজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ও এনজিও’র ২/৩ মিলে দুই শিফটে কাজ করতেন। বর্তমানে এনজিও’র টেকনোলজিস্টরা চলে যাওয়ায় বিকেলের শিফ্ট বন্ধ হয়ে পড়ে। এ কারণে প্যাথলজি বিভাগে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: কেয়া দাস ও ডা: কানিজ ফাতেমা (গাইনি) এবং ডা: রাশেদুল ইসলাম ও ডা: খোকন বড়–য়াকে দিয়ে (এনেস্থেসিয়া) জরুরি মুহূর্তে সিজার করানো হতো। এই চারজনই চলে যাওয়ায় এখানে সিজার করা বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে ডা: মুহাম্মদ মুহাইমিনুল ইসলাম (সনোলজিস্ট) চলে যাওয়ায় আল্ট্রাসনোগ্রাফী বিভাগটিও বন্ধের উপক্রম এখন। অপর দিকে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন থাকলেও রেডিওগ্রাফার বা এক্স-রে টেকনিশিয়ান নেই এক বছরের বেশি সময় ধরে। ফলে দ্বীপের বৃহৎ জনগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: রেজাউল হাসান বলেন, আগামী মার্চের আগেই জনবল সঙ্কটের অনেকটাই সমাধা হবে বলে আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement