০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

খাসজমি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

-

উচ্ছেদ বন্ধ করা ও খাসজমিতে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবিতে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী কয়েক হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু নারী-পুরুষ। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে যাতায়াতের সড়কটি বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।

উচ্ছেদ আমরা মানি না বাপের ভিটা ছাড়ব না’, ‘আর নয় উচ্ছেদ দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তি চাই’, ‘উচ্ছেদের ভয় নয় বাঁচার অধিকার চাই’ এ ধরনের লেখাসংবলিত ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন অবরোধকারীরা। অবরোধের এক পর্যায়ে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পাঠানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বসতভিটা হারিয়ে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়াসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে এসে কক্সবাজার শহরে বসবাস করছেন। কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাসজমিতে বসতভিটা হারানো প্রায় ৭০ হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তুর বসবাস। ছয় হাজার একর জমিতে ১০ হাজারের বেশি পাকা ও আধা পাকা ঘর করে তারা রয়েছেন। ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে গড়ে ওঠা এসব বসতিকে ঘিরে মসজিদ-মাদরাসা যেমন হয়েছে, তেমনি গড়ে উঠেছে প্রায় ৮০০টির মতো শুঁটকি মহাল। অথচ এখন জলবায়ু উদ্বাস্তুদের স্থায়ী পুনর্বাসন না করে সরকারি এই খাসজমি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আকতার কামাল, পূর্ব কুতুবদিয়াপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুদ্দিন খান, মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি আবুল বশর, ফদনার ডেইল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জাহেদুর রহমান, ব্যবসায়ী ছাবের আহমদ, আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম, শিক্ষক এজাবত উল্লাহ প্রমুখ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরো জায়গাটি সরকারি খাসজমি। এলাকাটিতে বিপুলসংখ্যক জলবায়ু উদ্বাস্তুর বসবাস। তাদের জন্য খুরুশকুলের ১৩৭টি পাঁচতলা ফ্ল্যাটবাড়ির বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। আড়াই বছর আগে ২০টি ভবনে ৬০০ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে। আরো ৮৫টি ভবন তৈরি হয়েছে, সেখানে আরো দুই হাজার ৭২০ পরিবার থাকতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement