চাটমোহরে বাঁশের সাঁকো ও নৌকাই নদী পারাপারে ভরসা
- মো: নূরুল ইসলাম চাটমোহর (পাবনা)
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মরা করতোয়া নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুরের আজো সেতু হয়নি। বৃটিশ আমল, পাকিস্থান আমল, বাংলাদেশ আমলেরও প্রায় ৫৩ বছর কেটে গেল তবু সেতু হলোনা। ফলে এ নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শত শত বছর ধরে। বছরের প্রায় আট মাস নৌকায় এবং বাকি চারমাস বাঁশের সাঁকোতে অতিকষ্টে পারাপার হতে হচ্ছে নদী। বহরমপুর ও বেলগাছি এ দু’টি গ্রামের চারপাশেই নদী থাকায় গ্রাম দু’টি উন্নয়ন বঞ্চিতও হচ্ছে দীর্ঘ বছর ধরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর পশ্চিম পাড়ে বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুর, বহরমপুরসহ আরো বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। পূর্ব পাড়ের মির্জাপুরে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চবিদ্যালয়, মাদরাসা, ভূমি অফিস, ব্যাংকসহ এলাকার বিখ্যাত মির্জাপুর হাট। এ ছাড়া বেশ কিছু গ্রামের অবস্থান নদীর পূর্ব পাড়ে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীর পশ্চিম পাড়ের মানুষকে পূর্ব পাড়ে এবং পূর্ব পাড়ের মানুষকে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করতে হয়। নদী পাড়াপারে দশ বারোটি গ্রামের অন্তত চল্লিশ হাজার মানুষকে বর্ষাকালে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় ভরসা রাখতে হচ্ছে।
বহরমপুর গ্রামের এহিয়া আলী জানান, বর্ষাকালে এ এলাকার মানুষকে খেয়া নৌকার অপেক্ষায় নদীপাড়ে বসে অপেক্ষা করতে হয়। নদীর পানি কমে গেলে বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। অসুস্থ রোগী, প্রসুতি মাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। শিশু, বৃদ্ধরাও বিড়ম্বনার শিকার হন নদী পারাপারের সময়।
গৌড়নগর গ্রামের মজিবর রহমান জানান, বগালালী ও মরা করতোয়া নদীর ওপর বহরমপুর-মির্জাপুর ব্রিজ না হওয়ায় কয়েকটি গ্রামের হাজার মানুষকে প্রতিদিন কষ্ট করতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগ কমাতে, এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এলাকাবাসী দ্রুত বহরম-মির্জাপুর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঊর্র্ধ্বতন দফতরে আটটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো আছে। তার মধ্যে এ সেতুর প্রস্তাবনাও রয়েছে। এখনো সমীক্ষা, যাচাই বাছাই হয়নি। আশা করছি আগামীতে জনগুরত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেতু নির্মিত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা