২ শিশু সন্তান নিয়ে অসহায় স্ত্রী সুমি
- পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছেন দিনমজুর সামশুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ অবস্থায় অবুঝ দুই সন্তান কানিজ ফাতিমা (১১) ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে (৭) নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিহত সামশুল আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার।
গত ২১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত সামশুল আলম ৩০ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যান। ওই ঘটনায় সুমি আক্তার বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্র্তী সময়ে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
স্বামী হারিয়ে অবুঝ দুই সন্তানের লেখাপড়া ও ভরণপোষণের অনিশ্চিত অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েছেন সুমি আক্তার। চোখে এখন অন্ধকার দেখছেন দুই সন্তান নিয়ে স্বামীহারা এই গৃহবধূ। খুনি চক্র বাদির স্বজনকে ঘায়েল করতে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
সুমির আহত স্বামীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিবেশী যারা আর্থিক ও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে আসামিপক্ষ উল্টো তাদেরকে চুরি ও ডাকাতি মামলায় ফঁাঁসানোর চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ সুমি আকতার স্বামী হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে সুমি আকতার জানান, গত ১৪ নভেম্বর হাইদগাঁও সাতগাছিয়া দরবার শরীফ এলাকা থেকে লেবু বিক্রি করে পটিয়া সদরে ফিরছিলেন দিনমজুর সামশুল আলম। পথ্যে ভাঙাপুল এলাকায় পূর্বশক্রতার জের ধরে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে একই সন্ত্রাসীরা গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে যায়।
খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মো: নাজমুন নুর বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা