বড়াইগ্রামে চিকিৎসকের ভুলে ৩০০ হাঁসের মৃত্যু
- বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯
স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে নাটোরের বড়াইগ্রামের বেকার যুবক ফরজ আলী গড়ে তুলেছিলেন হাঁসের খামার। খামারে একদিনের বাচ্চা কিনে বড় করেছিলেন। বর্তমানে ৬৭০টি হাঁসের মধ্যে সাড়ে চারশ’টি ডিম দেয়। আশা ছিল হাঁসের ডিম বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু চিকিৎসকের ভুলে খামারের ৩ শ’ হাঁস ইতিমধ্যেই মারা গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি গত রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পারকোল গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে ফরজ আলী ৭-৮ মাস আগে বাড়িতেই হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। প্রচণ্ড শীতে হাঁসগুলোর হালকা সর্দি লাগে। এতে তিনি ওষুধ দেয়ার জন্য বনপাড়া এলাকার পল্লী চিকিৎসক শরীফুল ইসলামের কাছে যান। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ভবিষ্যতেও আর সর্দি লাগবে না জানিয়ে তার বাড়িতে এসে সবগুলো হাঁসকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেন। ওষুধ দেয়া শেষ হতেই হাঁসগুলো একে একে মরতে শুরু করে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত খামারের তিনশ’ হাঁস মারা যায়।
ভুক্তভোগী খামারি ফরজ আলী জানান, স্থানীয় পল্লী পশুচিকিৎসক শরীফুল ইসলামের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় ইতিমধ্যেই তার পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। অবশিষ্ট হাঁসগুলো মারা গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১০ লাখে দাঁড়াবে বলে তার দাবি। ইতিমধ্যে তিনশ’টি মারা গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজে এসেও অবশিষ্টগুলোরও কোনো চিকিৎসা দিতে পারেননি। পল্লী চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম জানান, আমি হাঁসগুলোকে ‘জেন্টামাইসিন সালফেট’ নামের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলাম। হয়তো হাঁসগুলো এই অ্যান্টিবায়োটিক সহ্য করতে না পেরে মারা গেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুর আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং মরা হাঁস এনে ময়নাতদন্ত করেছি। হাঁসের শরীরে কোন রোগ ছিল না। অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রার কারণে হয়তো হাঁসগুলো মারা গেছে। এ ছাড়া ইনজেকশন পুশ করায় মাংসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অসুস্থগুলোরও কোনো ওষুধ দিয়ে কাজ হচ্ছে না।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা