ঝিনাইগাতীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কফি চাষ
- এম খলিলুর রহমান ঝিনাইগাতী (শেরপুর)
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সমতল অঞ্চলে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কফি চাষ। সাথি ফসল হিসেবে কফি চাষে মিলছে ভালো ফল। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চাষের পরিধি বাড়লে বিপণনসহ প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেয়া হবে।
জানা যায়, কফি চারা রোপণের দুই বছর পর ফল দিতে শুরু করে এবং এটি টিকে থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে চেরি ফল সংগ্রহের পর পালপিং, রোদে শুকিয়ে পার্চমেন্ট করে বাদামের মত অংশ বের করে নেয়া হয় এবং রোস্টিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় রোস্টেড কফি বিন।
একটি পরিপক্ক গাছ থেকে বছরে পাঁচ থেকে ছয় কেজি চেরি ফল পাওয়া যায়, যা থেকে এক কেজি রোস্টেড বিন তৈরি হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় দুই হাজার টাকা। বাড়ির পতিত জমি বা ছায়াযুক্ত স্থানে কফি গাছ রোপণ করা যায়।
কৃষি অফিস জানায়, বাংলাদেশে বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার কফি আমদানি করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ সফল হলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখা যেতে পারে কফি চাষ করে।
সমতলের কফি চাষে শেরপুর এখন দেখছে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন। কফি চাষ বাড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা, প্রযুক্তি এবং বাজারজাতকরণের সঠিক উদ্যোগ।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার সমতল ভূমিতেও কফি চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শেরপুরের কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, কফি চাষের উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া এখানে রয়েছে। সেই অনুযায়ী কৃষকদের কফি চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা