অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর আজরাইল দীঘি
- দাগনভূঁঞা (ফেনী) সংবাদদাতা
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭
ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুর গ্রামের আজরাইল দীঘিটি এখন অগণিত অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর। এটি মূলত হাজেরা-খাঁ দীঘি যা স্থানীয়ভাবে আজরাইল দীঘি হিসেবেই বেশি পরিচিত। এ দীঘিটি এখন অতিথি পাখির নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দীঘিটির চতুরপাশ এখন অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর। প্রতিদিন পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকাল ভিড় করছেন পাখিপ্রেমিরা।
দীঘির পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, সকালে তাদের ঘুম ভাঙে পাখির গুঞ্জনে। দীঘিতে আশ্রয় নেয়া পাখিগুলো নির্বিঘেœ ছোটাছুটি করলেও কেউ এদের ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করে না। কোনো শিকারি অসৎ উদ্দেশ্যে জলাশয়ের কাছেও আসে না।
পাখি দেখতে আসা মেজাম্মেল হক হাছান জানান, লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম। এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালো লাগছে। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এ দীঘিতে প্রতিবছরের মতো এ বছরও শত শত পাখি এসেছে। আগত এসব অতিথি পাখির অভয়ারণ্যে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে পাখি দেখতে আসেন। তিনি আরো বলেন, এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে হাজেরা-খাঁ দীঘিতে একবার ঘুরে আসলে পাখিদের কলকাকলিতে মুগ্ধ হবেন সবাই।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) দাগনভূঁঞা কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কাজী ইফতেখার বলেন, পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা গেলে এবং এসব পাখির নিরাপত্তা দেয়া গেলে এরা হয়তো নিয়মিত আসবে। একই সাথে পাখির বিচরণের জন্য বিল-জলাশয় ভরাট থেকেও আমাদের বিরত থাকতে হবে।
দাগনভূঁঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, কারো বিরুদ্ধে পাখি শিকারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা