মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে কার্যক্রম
- রফিক আহমদ চকরিয়া (কক্সবাজার)
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজে-কলমে ১০০ শয্যার। অথচ হাসপাতালটিতে চলছে ৫০ শয্যায় কার্যক্রম। তাও মাত্র দুইজন চিকিৎসককে দিয়ে। প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবলসঙ্কটের মধ্য দিয়েই এভাবেই চলে আসছে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। ফলে এলাকার রোগীরা সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
২০২১ সালে এলাকার সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে চকরিয়ায় ১০০ শয্যার হাসপাতালের অত্যাধুনিক চার তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করে সরকার। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ তিন বছর পার হলেও প্রশাসনিক অনুমোদন না হওয়ায় ১০০ শয্যার হাসপাতালটি চালু করা হয়নি।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সদ্য যোগদানকারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জানান, ১০ জন মেডিক্যাল অফিসারের স্থলে মাত্র দুইজন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন এখানে। তারাই প্রতিদিন জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রায় এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা দুইজন কুলিয়ে উঠতে না পারায় বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন মেডিক্যাল সাব সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারদেরকে এনে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেবার দরজা খোলা রয়েছে, তবে নেই ডাক্তার’।
এ হাসপাতালে প্রতিদিন পাশের পার্বত্য উপজেলা লামা, আলীকদম ও উপকূলীয় কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া উপজেলার রোগীরা আসেন। জরুরি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুইটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ড্রাইভার আছে মাত্র একজন। কিন্তু পর্যাপ্ত তেলের বরাদ্দ না থাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স অচল পড়ে আছে।
ডাক্তার জয়নুল আবেদীন আরো জানান, জুলাইয়ের বিপ্লবের পর কর্মরত ১১ জন মেডিক্যাল অফিসারের মধ্যে পাঁচজন উচ্চতর প্রশিক্ষণে চলে যান। এরপর বাকি ছয়জন মেডিক্যাল অফিসার অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় এখন শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে এইচজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ হাসপাতালে বিভিন্ন দফতরে সেবাকাজে নিয়োজিত ছিলেন। গত জুলাই মাসে সেই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাসঙ্কট আরো প্রকট হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় একজন টেকনোলজিস্ট দিয়ে ১৫-২০ লাখ টাকা মূল্যের আলট্রাসনোগ্রাফির মেশিনটির কাজ চালু ছিল; কিন্তু প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এ মেশিন চালানোর আর কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। যার ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বল্প খরচে ডেলিভারি সেন্টার চালু রয়েছে। এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাকসুদা বেগমকে সরকারিভাবে নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি অলৌকিক শক্তি বলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজেই নিজের অফিস করেন। অথচ তিনি এ হাসপাতালে কর্মকর্তা হিসেবে বেতনভাতা গ্রহণ করছেন। তার অনুপস্থিতিতে চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক ডাক্তার শামীমা সুলতানাকে দিয়ে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান অপারেশন করানো হচ্ছে। প্রতি মাসে এ হাসপাতালে ১০-১২ জন গর্ভবতী মহিলাকে স্বল্প ব্যয়ে ডেলিভারি করানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা