০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও ধামরাইয়ে ধলেশ্বরী নদীর ওপর পাকা সেতু হয়নি

কুল্লা ইউনিয়নে ধলেশ্বরীর ওপর বাঁশের সাঁকো : নয়া দিগন্ত -


একটি পাকা সেতুর আশায় দেশ স্বাধীনের পর থেকে কেটে গেল ৫৩ বছর। গত দুই বছর আগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয় পারাপারের জন্য। এর পূর্বে প্রায় ৫১ বছর নৌকা দিয়েই ধলেশ্বরী নদী পারাপার হতে হয়েছে স্থানীয়দের। উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ড নগর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ওপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু সাঁকোটি নড়বড়ে দেখে ভারী মালবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হয় না। দেশ স্বাধীনের পর থেকে আজো একটি পাকা সেতুর আকাক্সক্ষায় হাজারো মানুষ।
গত দুই বছর আগে কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী লুৎফর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়া নিজেদের অর্থায়নে দুইশত মিটার বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন। মোটরসাইকেল অটোরিকশা নিয়ে সাঁকো পার হলে ১০ টাকা করে দিতে হয়। মাঝে মধ্যেই ওই টাকা দিয়ে সাঁকো মেরামতের কাজ করা হয়ে থাকে। সাঁকোটি ধামরাই, সাভার, মানিক জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ। এই সাঁকো দিয়ে ফোর্ডনগর ফকির পাড়া, খাসিরচর, বহুতকোল, জয়মন্টপ, ধল্লা, গাজিংগা, আড়ালিয়া, ফরিঙ্গা, খরারচর, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলাসহ প্রায় ২০-২৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। ঢাকার একেবারে সন্নিকটে হওয়া সত্ত্বেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।

স্থানীয়দের দাবি, দেশে আজ উন্নয়নের বাতাস বইতে থাকলেও লাগেনি আমাদের এলাকায়। একটি পাকা সেতুই যেন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। ইট বালু প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে প্রায় ১৫-২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে নদী। বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা।
জয়নাল আবেদীন আক্ষেপ নিয়ে বলেন আমি সরকারের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা পাই। সেই ভাতা বন্ধ করে হলেও আমাদের এই ধলেশ্বরী নদীর ওপর একটি পাকা সেতু করে দেয়া হোক। শেষ জীবনে একটি সেতু দেখে যেতে চাই।
উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ধামরাই উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তের সবচেয়ে অবহেলিত গ্রাম ফোর্ডনগর। সকাল হলেই সবজির গাড়ি আসে। তারা ১৮-২০ কিলোমিটার ঘুরে বা নৌকায় করে মালামাল নিয়ে যায়।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১৫০ মিটার ব্রিজের একটি প্রকল্প রয়েছে। সেখানে ফোর্ডনগর ব্রিজের নাম দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি আসলেই আমরা ওই এলাকায় নদীর ওপর ব্রিজটি করে দিবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকায় যে ব্রিজটির কথা এসেছে। এটার ব্যবস্থা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৭টি গরু উদ্ধার ভারতে ৮ মাসের শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে উচ্চ পর্যায়ের ৩ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার কাতারের কাছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি সিরিয়ার নড়াইলে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ হতাহত ৪ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ শেওলা স্থলবন্দর মেহেরপুরে সড়কে আহত ডিসি অফিস কর্মকতার চিকিৎসাধীন মৃত্যু বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে শেরপুরের কৃষকদের দূষিত শহরের তালিকার আবারো শীর্ষে ঢাকা ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ হলে যে প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে কুড়িগ্রামে শীত উপেক্ষা করে ইরি চাষে ব্যস্ত কৃষক

সকল