আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত নড়িয়ার ৩ লাখ মানুষ
- বোরহান উদ্দিন রব্বানী শরীয়তপুর
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
২০১৮ সালের পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন যে শুধু নড়িয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার কাঁচা-পাকা স্থাপনা, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, ফসলি জমি ও গাছপালাই গিলে খায়নি গ্রাস করেছে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও। ২০১৮ সাল থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ। তাই ২০২০-২১ অর্থ বছরে নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখীপাড়া এলাকায় নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু জেলার একমাত্র আইসিইউ সম্বলিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও মুলফৎগঞ্জের পুরনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার কিছু লোকজনের উচ্চ আদালতে রিটের কারণে নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রুত আইনি জটিলতা নিরসন করে জনসাধারণের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবি নড়িয়াবাসীর।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে নড়িয়া পৌরসভার বৈশাখীপাড়া এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধনের তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। তবে মুলফৎগঞ্জ এলাকা থেকে পুরনো হাসপাতালের কার্যক্রম সরিয়ে নেয়ার বিপক্ষে আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষ উচ্চ আদালতে রিট করায় আটকে যায় উদ্বোধন কার্যক্রম।
জানা যায়, ২০১৮ সালে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে হাসপাতালটির তিন তলার মূল ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হলে কোনো রকমে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে পাশের সরকারি কোয়ার্টারগুলোতে।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা: আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করলেও মুলফৎগঞ্জ এলাকার পুরনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার কিছু লোক জনের উচ্চ আদালতে রিটের কারণে নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু করা যাচ্ছে না। রিটের নিষ্পত্তি শেষে রায় অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা