বছরের শেষ দিনটিও লবণের দাম নিয়ে হতাশায় কাটাল চাষিরা
- এস এম রহমান পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
বছরের শেষ দিনটিও মাঠে উৎপাদিত লবণের দাম নিয়ে হতাশায় কাটিয়েছেন লবণচাষিরা। গতকাল ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ দিনে মাঠে পাইকারি প্রতি মণ লবণ বিক্রি হয় মাত্র ২৭০ টাকা। অথচ উৎপাদন খরচ প্রতি মণে ৩২০ টাকা। অথচ একই লবণ গত মৌসুমে বিক্রি করেছে প্রতি মণ ৫৩৩ টাকার ওপরে। মাঠে লবণ উৎপাদন খরচ আর বিক্রয়মূল্যের মধ্যে এত পার্থক্য কিছুতেই মানতে পারছেন না চাষিরা।
এভাবে উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণেই হয়তো ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি মৌসুমের লবণ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৬ হাজার ৬৭৪ টন। একই সময়ে গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছিল ৪৯ হাজার ৩২৯ টন। সচেতন মহল মনে করেন, উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা না গেলে দেশের লবণ উৎপাদন শিল্প হুমকির মুখে পড়বে।
গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষিদের কাছে নতুন পুরনো মিলে লবণ মজুদ রয়েছে ৮০ হাজার টন। অপর দিকে লবণ মিলগুলোতেও মজুদ রয়েছে প্রায় দেড় লাখ টন।
চলতি মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৬ লাখ ১০ হাজার টন। সে কারণে লবণ উৎপান খরচ বৃদ্ধি পায়।
অনেকেই মনে করছেন, লবণ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেমন- সরকারিভাবে লবণ শিল্পের প্রতি নজর দেয়া ও উৎপাদিত লবণের মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া। উপকূলীয় বন বিভাগের ও সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জবরদখল হওয়া হাজার হাজার একর জমি প্রকৃত লবণচাষিদের মধ্যে বন্দবস্ত করে দেয়া। যদিও বর্তমানে এই জমিগুলো প্রভাবশালীরা জবরদখল করে তা পুনরায় চাষিদের মাঝেই উচ্চমূল্যে বর্গা দেয়। সেচ সুবিধার আওতায় বিদ্যুৎসংযোগের ব্যবস্থাসহ সহজ শর্তে কৃষিঋণের ব্যবস্থা করা। এতে মাঠে লবণের উৎপাদন মূল্য অনেকটা কমে আসবে। সরকারিভাবে এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করলে মৌসুমজুড়ে চাষিরা লবণ উৎপাদন দিয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারবে। এতে লবণ শিল্প চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিসিক সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে চট্টগ্রামের বাঁশখালী পটিয়া আনোয়ারা ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপকূলে ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে ৪০ হাজার ৬৯৫ জন চাষি মাঠে লবণ উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশির ভাগ লবণের জমিতে আশানুরূপভাবে চাষিরা লবণ উৎপাদনে মাঠে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বিসিকের লবণ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার জাফর ইকবাল ভূঁইয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা