পাইকগাছার একটি সরিষা ক্ষেত : নয়া দিগন্ত
- শেখ দীন মাহমুদ পাইকগাছা (খুলনা)
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫
আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে খুলনার পাইকগাছায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রান্তরজুড়ে সরিষার ক্ষেত ভরে গেছে হলুদ ফুলে। মনমাতানো সুবাস আর ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন কৃষকের মন আন্দোলিত করছে। একদিকে মধু আহরণে মৌমাছিরা মেতে উঠেছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞে। অন্যদিকে নিজেদের সরিষা ফুলের সাথে স্মৃতির অ্যালবামে ধরে রাখতে কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীরা ভিড় করছে সরিষার মাঠে। আমনের পর সরিষার ভালো ফলনে কৃষকের চোখে-মুখে বিরাজ করছে তৃপ্তির হাসি।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিনা চাষে সাথী ফসল হিসেবে ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে সরিষার বীজ ও সার সরবরাহের পাশাপাশি সঠিক তদারকিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে বলেও দাবি কৃষি অফিসের।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সরিষা চাষের উপযোগী ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলি ইউনিয়নে সরিষার আবাদ হয়। তবে চাঁদখালী, গড়ইখালী ও দেলুটির উঁচু এলাকার কিছু জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এবার কৃষকরা বারি সরিষা ১৪, ১৮, বিনা-৯ ও স্থানীয় জাতের সরিষা আবাদ করেছেন।
উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর এলাকার কৃষক ও ওয়ার্ড সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম, গোপালপুরের আনছার আলী জানান, তাদের আবাদকৃত সরিষার ফলন খুব ভালো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একরামুল ইসলাম জানান, আবহাওয়াজনিত কারণে উপজেলার অনেক এলাকায় দেরিতে আমন আবাদ ও পরে ধান কাটায় সরিষার আবাদ দেরিতে হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে কৃষকরা যদি আগাম জাতের ধান চাষ করে তাহলে সরিষা চাষে পুরা সময় পাবে। এ ব্যাপারে কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার নিচু জমিতে দেরিতে জো আসে তাই ফসল লাগাতেও দেরি হয়। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না হলে সরিষার আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ কৃষির এ কর্মকর্তার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা