০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩০, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

নীলফামারীতে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানি

নীলফামারীর একটি ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং : নয়া দিগন্ত -


নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের বেশির ভাগ লেভেল ক্রসিংগুলোতে নেই গেট ও গেটম্যান। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানিসহ নানা ক্ষয়ক্ষতি। যদিও অরক্ষিত এসব লেভেল ক্রসিংয়ের দুই পাশে রেল বিভাগের লাগানো সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড কোনো কাজেই আসছে না। গত এক যুগেও এসব অরক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংয়ের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নীলফামারী জেলার ৭০ কিলোমিটার রেলপথে রয়েছে ৩৬টি লেভেল ক্রসিং। এর মধ্যে ২৩টি লেভেল ক্রসিংয়ে নেই গেট বা গেটম্যান। শুধুমাত্র রয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুঘর্টনা। এমন একটি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং হচ্ছে জেলা সদরের দারোয়ানী রেলস্টেশনের পাশেই। ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি এই লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর ট্রেন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাণহানি হয় চার ইপিজেড নারী শ্রমিকসহ অপর একজনের।

এ রকম আরো একটি ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিং হচ্ছে খয়রাত নগর রেলস্টেশনের পাশে। এই লেভেল ক্রসিংয়ের পাশে রয়েছে উত্তরা ইপিজেড। প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় ইপিজেডের হাজার হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিককে এই ক্রসিং পার হতে হয়। ইতোপূর্বে এই ক্রসিংয়েও অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে এসব অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য মতে, নীলফামারীতে গেল ৩ বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণহানি হয়েছে শিশুসহ অর্ধশত নারী-পুরুষের। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ২৪ জন ও ২০২৪ সালে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ জন।

সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব লেভেল ক্রসিং দিয়ে যানবাহনসহ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচল থাকলেও, এগুলো রক্ষায় কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রাণহানি রোধে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে রেখেছে গেটম্যান। লোকজনের কাছে চাঁদা তুলে গেটম্যানদের দেয়া হয় সামান্য ভাতা। ট্রেনের সময় বাঁশ দিয়ে আটকানো হয় লেভেল ক্রসিংগুলো।

আইনজীবী ও গবেষক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ের কারণে প্রতিবছর প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংগুলোতে অতি জরুরি সরকারিভাবে রেলগেট ও গেটম্যান দেয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগ পার্বতীপুর জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর মো: রাকিব জানান, ২০১২ সালের পর নীলফামারীতে নতুন করে শুধু মাত্র ১টি রেলগেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংগুলোতে রেলগেট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
সমালোচনার মুখে যোগদান করেননি রাবির ২ সহকারী প্রক্টর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সোয়া কোটি ব্যক্তিকে সেবা দেয়া হচ্ছে : প্রধান উপদেষ্টা একবার ব্যবহারযোগ্য সব ধরনের প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করল দুবাই ফরাসি সেনাবাহিনীকে দেশ ছাড়তে বলল আইভরি কোস্ট দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম হত্যা : প্লেজেনের সিইওসহ ২ জন কারাগারে আগামীর পৃথিবী তরুণদের হাতে : মঈন খান তৃতীয়বারের মতো এআইপিএসের বর্ষসেরা আর্জেন্টিনা রাবিতে ১ শতাংশে নামল পোষ্য কোটা সচিবালয়ে আগুনের তদন্তে সন্তুষ্ট সরকার বাংলাদেশে পরমতসহিষ্ণু রাজনীতির ধারক ও বাহক জাতীয় পার্টি : মোস্তফা সস্ত্রীক সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সকল