পাহাড় ঝরনা সৈকতের মেলবন্ধন মিরসরাইয়ে পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনা
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেললাইন। এর পূর্ব পাশজুড়ে আছে সুউচ্চ পাহাড় ও ঝরনাধারা। পাহাড়ের পাদদেশেই আছে চোখ জুড়ানো হ্রদ। পশ্চিম পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সমুদ্রসৈকত। উপজেলার উত্তর পাশে টলটলে বহমান নদী।
সৃষ্টিকর্তার এমন অপরূপ সৃষ্টি বন, পাহাড়, ঝরনা, নদী, সমুদ্র ও হ্রদের সম্মিলন আর কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই কারণে মিরসরাই-সীতাকুণ্ডকে বলা হয় দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় পর্যটনস্থান। এই উপজেলার প্রায় ১৫টি পর্যটন স্পটে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু। বিশেষ করে ছুটির দিন মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে এসব পর্যটন স্পটে এখনো তেমন কোনো অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। নিরাপত্তাব্যবস্থায়ও ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা গেলে সরকার এসব পর্যটন স্পট থেকে বছরে প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
জানা গেছে, এ দুই উপজেলায় ১৫টিরও বেশি পর্যটন স্পট আছে। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে যাচ্ছে চোখধাঁধানো বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝরনা ধারা। এগুলোর মধ্যে খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, সোনাইছড়ি, বোয়ালিয়া, বাওয়াছড়া, হরিণাকুন্ড, মেলখুম ও মহামায়া সজর কাড়ে সবার।
এখানে রয়েছে করেরহাট ফরেস্ট ডাকবাংলো, হিলসডেল মাল্টি ফার্ম ও মধুরিমা রিসোর্ট ও আরশিনগর ফিউচার পার্ক। এখানে দেখা মিলবে মহামায়া, সোনাইছড়া ও বাওয়াছড়ার মতো স্বচ্ছ জলের হ্রদের। এ হ্রদগুলোর মধ্যে মহামায়া আবার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ। ফেনী নদীর মুহুরি সেচ প্রকল্প এলাকায় একবার ঢুঁ মারলে আর কোত্থাও যেতে ইচ্ছে করবে না আপনাকে। এখানে নৌকায় ঘোরাঘুরি করতে করতে দেখা মিলবে বক, পানকৌড়ি আর মাছরাঙাদের ওড়াউড়ি। উপজেলার পুরো পশ্চিম দিকটাই সমুদ্রঘেরা। চোখের সীমানায় উত্তাল ঢেউয়ের তালে জেলে নৌকার নাচন দেবে চোখের প্রশান্তি। রয়েছে ডোমখালী ও শিল্পনগর সমুদ্রসৈকত। নাগরিক জীবনে একটু ছুটি মিললেই অনেকেই ছুটে যান সাগর-পাহাড়-অরণ্য ও ঐতিহ্যে ঘেরা মিরসরাইয়ে।
মিরসরাইয়ের মহামায়া ইকোপার্কে ঘুরতে আসা এ পর্যটক দলের সদস্যের সাথে কথা হয়। নুর হোসেন মানিক নামে ওই পর্যটক বলেন, বেড়ানোর জন্য মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলা দু’টি অসাধারণ জায়গা। বন পাহাড়, ঝরনা, হ্রদ, নদী ও সমুদ্রের এমন মেলবন্ধন দেশের আর কোথাও নেই। আমরা এরই মধ্যে মহামায়া হ্রদ আর খৈয়াছড়া ঝরনা ঘুরে এসেছি। এরপর যাই সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সি বিচে। কিন্তু রাতযাপনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় চাইলেও একবারে এসে এখানকার সব ক’টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। থাকা, খাওয়া আর যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা থাকলে এখানে বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র তৈরির সব উপাদানই রয়েছে।
মিরসরাই উপজেলার পর্যটনশিল্পের সমস্যা এবং সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ শেখ মেহদি হাসান বলেন, বহুমাত্রিক দর্শনীয় স্থানের কারণে পর্যটনশিল্পে মিরসরাই উপজেলার পরিচিতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এসবের সাথে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পনগর নানা প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা ও ধর্মীয় নিদর্শন এই এলাকাকে দিয়েছে অনন্য এক পর্যটন গন্তব্যের মর্যাদা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা