২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে খানাখন্দ, ভোগান্তি

বেহাল চৌগাছা-মহেশপুর সড়ক : নয়া দিগন্ত -

যশোরের চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটির বেহালদশা। খানাখন্দ সড়কে চলাচলে ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী। চৌগাছা থেকে মহেশপুর পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা। এ কারণে দূরপাল্লার পরিবহন বাস চলাচল করতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির সীমা নেই। ভারী কোনো যানবাহন না চলায় পণ্য পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ।
বিশেষ করে এ সড়কটির টেঙ্গুরপুর মোড় থেকে কাঁদবিলা বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। সড়কটি দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ঢাকা, চৌগাছা ও যশোর শহরে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে, আন্দারকোটা গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মারুফ ইসলাম বলেন, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। যানবাহনে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা শহর চৌগাছা ও জেলা শহর যশোরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। জরুরি প্রয়োজনে গর্ভবতী মা, শিশু ও মুর্মূষু রোগীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি খানাখন্দের কারণে যাতায়াতে অধিক সময় ব্যয় হয়। মহেশপুর উপজেলা থেকে চৌগাছা হয়ে রাজধানী ঢাকায় বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। কিন্তু সড়কটিতে খানাখন্দ থাকায় বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বন্দুলিতলা গ্রামের অটোবাইকচালক সহেল হোসেন বলেন, এ সড়কটি ভাঙাচোরার কারণে দু’টি উপজেলা শহর থেকে চলাচল করতে অটোবাইক নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। আগের তুলনায় এখন সময় লাগে দ্বিগুণেরও বেশি। বৃষ্টি হলে সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পানি জমে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। আর রোদ হলে ধুলা-বালীতে ভরে যায়।

চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের চাঁদপাড়া জিসিবি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। কোনো কোনো স্থানে সড়কে দেখা দিয়েছে ধস। এ সড়কটিতে জনসাধারণের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
ঝাউতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি দেখলে মনে হয় সড়কের গায়ে গুটিবসন্ত হয়েছে। এ এলাকার মানুষের চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা, ব্যবসা, আর্থসামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সড়কটি সংস্কারের দাবি করেন তিনি।
চৌগাছা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ জানান, চৌগাছা-মহেশপুর সড়কটি এলজিইডি বিভাগের আওতায় নয়। এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement