চকরিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ডাকাতি ও ছিনতাই বৃদ্ধি
সঙ্ঘবদ্ধ ছিনতাইকারী পরিকল্পিতভাবে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ডাকাতি ছিনতাই করে যাচ্ছে- রফিক আহমদ চকরিয়া (কক্সবাজার)
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭
চকরিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশে আশঙ্কাজনক হারে ডাকাতি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারগামী পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তার সাথে বেড়েছে দুর্ঘটনার প্রবণতা।
জানা যায়, পর্যটক মৌসুমকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশের একাধিক পয়েন্টে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এর মধ্যে পর্যটকদের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে । এসব ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে অভিজ্ঞ মহল।
স্থানীয়রা জানান, সর্বশেষ গত রোববার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া কলেজ মোড় ও ফাঁসিয়াখালীর রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন মোটরসাইকেল আরোহী কক্সবাজার মুখী পর্যটক। তিনটি মোটরবাইকের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের মারধর করে মোটরবাইক, স্মার্টফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। ইতঃপূর্বেও এ সড়কে আরো ১০-১২টি মোটরসাইকেলের আরোহী ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুরুল কাদের ভূঁইয়া জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে অভিযান চালিয়ে সড়কে ডাকাতি ও মলম পার্টিসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চকরিয়ার হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশের আজিজনগর-হারবাং, খুটাখালী-নতুন অফিস পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ পথ। এ সড়কে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে আসছে। চকরিয়া অংশের চকরিয়ার হারবাং অংশের জাইল্যারাঢালা, ভাণ্ডারীর ডেবা, ইনানী, বরইতলী, বানিয়ারছড়া, ইসলামনগর, জিদ্দাবাজার, ভাঙারমুখ-ভেন্ডিবাজার, ফাঁশিয়াখালীর রিংভং, ছগিরশাহকাটা, মালুমঘাট ও খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়া ঢালা সড়ক অতি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসি আরিফুল হক জানান, সড়কে পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে তা কোনো কাজে আসছে না। সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড চুরি হয়ে গেছে। তার ওপর রয়েছে পর্যাপ্ত জনবল ও গাড়ির সঙ্কট।
এ দিকে, একটি সঙ্ঘবদ্ধ ছিনতাইকারী পরিকল্পিতভাবে এ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সুযোগ নিয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে যাচ্ছে। বেশির ভাগ ভোরে ও গভীর রাতে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকরাই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন।
এ শীতের মৌসুমে প্রতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ও চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে পর্যটকদের ঢল নামে। এ ছাড়া সড়ক দিয়ে চলতি বছরে বিদেশী গরু পাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর গাড়ি আটকে টাকা আদায়ে তৎপর হয়ে ওঠে এ চক্রটি। অবৈধ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মোটরবাইক নিয়ে প্রস্তুত থাকে। আর এ সময়ে পর্যটকরা তাদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন বলে জানা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা