বরগুনায় বেড়িবাঁধ কেটে ইটভাটা মালিকের কালভার্ট নির্মাণ : এলাকাবাসীর দুর্ভোগ
- গোলাম কিবরিয়া বরগুনা
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪
বরগুনায় বন্যানিয়ন্ত্রণের বেড়িবাঁধ কেটে কালভার্ট নির্মাণ করে মাটি পরিবহন করছে স্থানীয় এসবিসি নামে একটি ইভাটার মালিকপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ বাঁধটি কেটে স্থায়ী পথ তৈরি করায় দুর্যোগের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসলি জমিসহ বসতঘর তলিয়ে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতিসহ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
বরগুনা সদর উপজেলার কুমড়াখালী নামক এলাকায় গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি এসবিসি নামের ওই ইটভাটাটি স্থাপন করেন। প্রায় এক দশক আগে নির্মিত এ ভাটার মালমাল পরিবহনের সুবিধার্থে খাকদোন নদী সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণের বেড়িবাঁধ কেটে সেখানে কালভার্ট নির্মাণ করে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করেন তারা।
জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে নির্মিত এই ভাটার মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে খাকদোন নদীসংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণের বেড়িবাঁধ কেটে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। বছর দুই আগে মালিক গোলাম মোস্তফার থেকে ইটভাটাটি কিনে নেন বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তবে মালিকানা পরিবর্তন হলেও বন্ধ করা হয়নি ভাটার মালামাল পরিবহনে নির্মিত সেই কালভার্টটি। নদীর চরে নির্মিত ইট ও নদী পথে নৌযানে সেই ইটসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনে সহজ পথ হিসেবে কালভার্টটি ব্যবহার করা হয়।
এলাকার বাসিন্দা গফুর বলেন, নদীর পাড়ে যে ইট তৈরি করা হয় তা রাস্তার অপর পাশের ভাটায় পোড়াতে নেয়ার জন্য এই কালভার্টেও পথটিই সহজ পথ। রাস্তা ও কালভার্টটি উঁচু হওয়ায় সহজে ওই পথে মালামাল পরিবহন করা যায়। বেলাল নামের এক ব্যক্তি বলেন, কালভার্টটি তৈরি করা হয়েছে শুধু রাস্তার একপাশ অন্য পাশে ইট আনা নেয়ার জন্য। যখন বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন প্রথমে এ কালভার্ট দিয়েই আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করে।
রাকিবুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, ইভাটার বর্তমান মালিক সিদ্দিকুর রহমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বোনজামাই। সেই সুবাদে তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইভাটাসহ এক একর জমি ক্রয় কওে পাঁচ একর জমি জবরদখল করে নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওই কালভার্ট দিয়ে একপাশের মালামাল অন্য পাশে আনা-নেয়ার কাজটি সহজ করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসবিসি ইটভাটার ম্যানেজার রিপন বলেন, আমরা দুই বছর আগে ইটভাটাটি কিনেছি। কালভার্র্টটি এর আগের মালিকপক্ষ নির্মাণ করেছে। কালভার্টটি থাকায় আমাদের মালামাল পরিবহনে সুবিধা হয়। তাই এটি আমরা ব্যবহার করছি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, ইতোমধ্যে কালভার্টটি ভেঙে বেড়িবাঁধটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছি। যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কালভার্টটি না ভাঙে, তাহলে আমারাই সেটি ভেঙে বাঁধটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা