জনবল সঙ্কট ও অবহেলায় মাওয়া মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা
- মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ম্ন্সুীগঞ্জের মাওয়া এক্সপেস ওয়েতে বেপরোয়া গতিতে চলছে যানবাহন। এমনকি বৈরী আবহাওয়ায়ও যানবাহন চলাচলের ন্যূনতম গতিসীমা মানা হচ্ছে না। কুয়াশা বা বৈরী আবহাওয়ায় সামনের সড়ক পরিষ্কারভাবে দেখা না গেলে যানবাহন চালানো বন্ধ রাখার কথা বলা আছে ট্রাফিক আইনে; কিন্তু সেই নির্দেশনা কেউ মানছেন না। যার কারণে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কে গত দুই দিন একাধিক যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সড়ক সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে দায়িত্ব অবহেলাও। এ ধরনের আবহাওয়া হলে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি প্রবেশ করার পূর্বেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা উচিত। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি; যে কারণে এতগুলো গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হলো।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও হাসাড়া হাইওয়ে থানার হিসাবে, চলতি ডিসেম্বরের গত ২৩ দিনে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৮০ জন আহত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ জন।
আধুনিক মহাসড়কগুলোতে ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে গতি দেখানোর সংকেত বা সাইনবোর্ড থাকে। সেই অনুযায়ী তা মানা হচ্ছে কি না, তা হাইওয়ে পুলিশের দেখার কথা। কিন্তু অবকাঠামো, যানবাহন ও জনবল থাকার পরও হাইওয়ে পুলিশ তা করে না। অন্য দিকে ব্যয়বহুল খরচে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের এই মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সাইন-সঙ্কেত ব্যবস্থাপনাও আধুনিক মানের নয় বলে জানা গেছে।
মহাসড়কে যানবাহন কোনো গতিতে চলাচল করতে পারবে, এ-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রকাশ করে সরকার। এতে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক সময়ে এক্সপ্রেসওয়েতে কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো বাসের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, মিনিট্রাকসহ সব ধরনের মালবাহী যানের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার। আর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার; অথচ কেউই মানছে না এই নীতিমালা।
বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিসীমার এ নির্দেশনা শুধু স্বাভাবিক সময়ের জন্য প্রযোজ্য। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা হলে নিয়ন্ত্রণযোগ্য গতিসীমা প্রযোজ্য হবে; অর্থাৎ যতটুকু গতি হলে চালক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, সেই অনুযায়ী চালাতে হবে। তবে দৃষ্টিসীমা বেশিমাত্রায় কমে গেলে বা একেবারে দেখা না গেলে যানবাহন চালানো বন্ধ রাখতে হবে। বৈরী আবহাওয়ায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থাই নেই। এ বিষয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ আইনগত কোনো শাস্তি প্রয়োগ করেননি।
হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, প্রতিদিন রাতে দুটি গাড়ি দিয়ে ধলেশ্বরীর টোল প্লাজা থেকে শুরু করে মাওয়া এলাকার প্রায় ২৯ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়ক টহল দেয় পুলিশ। অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করেন ওসি।
বেপরোয়া চালক ও পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রতিদিন আইনি কার্যক্রম চলছে বলে দাবি করে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে চালকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।
হাঁসাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাস ও হুমায়ন আহমেদ বলেন, কুচিয়ামোড়া, ধলেশ্বরী সেতুর টোল প্লাজা, হাঁসাড়া, ষোলঘর, পদ্মা থানা এলাকার কাছাকাছি এক্সপ্রেসওয়েতে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ পুলিশ এসব এলাকায় নামমাত্র টহল দেয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা