২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শতবর্ষে জয়পুরহাটের তেঘর উচ্চবিদ্যালয়

-

শতবছরে পদার্পণ করেছে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তেঘর উচ্চবিদ্যালয়। মাধ্যমিক এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার শুরুতে মক্তব তারপর জুনিয়র মাদরাসা। সেখান থেকে হাই মাদরাসা এবং পরবর্তিতে সরকারি এক অধ্যাদেশে হাইস্কুলে রুপান্তর করা হয়। বিদ্যালয়টি এবার শতবর্ষে পা দিয়েছে।
বিদ্যালয়টি ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, ইতিহাসের তিন অধ্যায়ের সাক্ষী হিসেবে এখনো বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়ে সফলতার শিখরে।

জানা যায়, ১৯২৪ সালে (বাংলা ১৩৩১ সনের ১৬ শ্রাবণ) গ্রামের শিক্ষানুরাগী মুহাম্মদ ফুলমিয়া মণ্ডলের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি নবী বকশ মণ্ডলের বাড়িতে মুমিন উদ্দিন মণ্ডল, সাদার বকশ, কছির উদ্দিন ও আছিরা মণ্ডল মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, একটা মাদরাসা প্রতিষ্ঠার। তখন মাদারাসা নির্মাণে আ: লতিফ রেজিস্ট্রি মূলে ১৫ কাঠা জমি দান করেন এবং মাদারাসার নাম রাখা হয় তেঘরি বিশা ইসলামিয়া জুনিয়র মাদারাসা। চার বছর পর ১৯২৮ সালে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় জুনিয়ার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের পরিচয় দেয়। ১৯৩২ সালে মাদরাসার তদানিন্তন সেক্রেটারি জাকের উদ্দীন মণ্ডল ও সভাপতি মুমিন উদ্দীন মণ্ডল শিক্ষার্থীদের জন্য রেললাইনসংলগ্ন বিশাল মাঠ দান করেন। ১৯৩৮ সালে জুনিয়র মাদরাসাকে সিনিয়র মাদরাসা ও আবাসিক হোটেল নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৩ সালে মাদরাসাটি হাই মাদরাসা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৬০ সালে এক সরকারি অধ্যাদেশে ‘তেঘর হাই স্কুলে’ রূপান্তরিত হয়।

এ বিদ্যালয় থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নূরুল ইসলাম (রংপুর), সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সরদার এমদান হোসেন (রাজশাহী), ডা: গোলাম মওলা চৌধুরী এবং অধ্যাপক ডা: মুজিবুর রহমান এবং ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাইউল কাইয়ুম এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
আজ ২৬ ডিসেম্বর তেঘর উচ্চ বিদ্যালয়-জয়পুরহাট সদর এর শতবর্ষ পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান জানান, এখন বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকদের দূরদর্শিতা ও শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের মাধ্যমে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি।


আরো সংবাদ



premium cement