বড়াইগ্রামে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারকাজে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন এসব খোয়া ব্যবহারে প্রতিবাদ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন থেকে মেরিগাছা অভিমুখে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪০ টাকা বরাদ্দে সংস্কারকাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পূর্বাচল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফখরউদ্দিন। পরে সাব ঠিকাদার মিল্লাত হোসেন মিঠু কিনে নিয়ে কাজটি করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিলের মধ্যে রাস্তার এ অংশটুকু খুবই ভাঙাচোরা হওয়ায় পুনরায় সংস্কারে অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। লালপুর উপজেলার একটি ইটভাটা থেকে এক ট্রাকে করে নিম্নমানের খোয়া নিয়ে আসেন ঠিকাদারের লোকজন। তবে সংবাদকর্মীদের দেখে সেখানে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্য সহকারী রফিকুল ইসলাম ওই ট্রাকের খোয়া রাস্তায় দিতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজন তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরে সাব ঠিকাদার মিঠু নিজে এসে ওই ট্রাকের নিম্নমানের খোয়া আবারো শ্রমিক দিয়ে রাস্তার ফেলেন।
কয়েন গ্রামের রাকিব হোসেন বলেন, রাস্তার এ অংশটুকু ভেঙে যাওয়ায় খুব ভোগান্তি হচ্ছিল। সংস্কার হবে জেনে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম; কিন্তু যে নিম্নমানের খোয়া দিচ্ছে, তাতে এ রাস্তা কয়েক মাসই টিকবে না। ভ্যানচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের ভ্যানগাড়ির চাকার চাপেই খোয়া গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে। এ রাস্তা কয়দিন টিকবে?

জানতে চাইলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুম আহমেদ বলেন, ভালো ইটের সাথে কিছু দুই নম্বর ইটের খোয়াও ভাটা থেকে দেয়া হয়েছে। পুরোপুরি নিয়ম মেনে তো আর কাজ করা যায় না।
এ বিষয়টি স্বীকার করে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি প্রকৌশলী স্যার ও ঠিকাদারের কাছে অভিযোগ করেছি। তারপরও তারা খারাপ খোয়াই নিয়ে এসে রাস্তায় দিচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল করিম বলেন, আমি একটি প্রশিক্ষণে রাজশাহীতে আছি। ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় দেখছি।