সোনারগাঁওয়ে মারিখালি নদ যেন বর্জ্যরে ভাগাড়
- হাসান মাহমুদ রিপন সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ)
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রের শাখা মারিখালি নদটির এখন মরণ দশা। অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে এ নদটি। দখল-দূষণ আর নাব্যসঙ্কটে এটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। অথচ একসময়ের খরস্রোতা এ নদ দিয়ে লঞ্চ যেত মেঘনায়। স্রোতস্বিনী এ নদের সেই জৌলুস এখন আর নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, এ নদের পানি দিয়ে তারা এক সময় ফসল ফলাতেন। কিন্তু শিল্পের বর্জ্যে কালচে রঙ ধারণ করা পানি এখন কোনো কাজে লাগানো যায় না। প্রভাবশালীরা মারিখালি নদের দুই পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও বর্জ্যরে কারণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দ্রুত অবৈধ স্থাপনা ও ময়লা অপসারণের দাবি জানান পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মেঘনা নদীর কোলঘেঁষে শুরু হয়ে সোনারগাঁও পৌরসভা, পিরোজপুর, শম্ভুপুরা, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেকের ঐতিহাসিক হাটের পাশ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে মিশেছে এ মারিখালি নদ। উপজেলার পৌরসভাসহ চার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ কৃষিকাজ, গোসলসহ গৃহস্থালি বিভিন্ন কাজে এই নদের পানি ব্যবহার করত।
স্থানীয়রা জানান, এ নদকে ঘিরে উপজেলার কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বসতি গড়ে ওঠে। প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় নদ এখন আর আগের মতো নেই।
মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসায়ী মোতালেব, কামাল হোসেন, রমজান হাসান, বিল্লাল হোসেন বলেন, বর্তমানে মারিখালি নদের পানির দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না। তাদের এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন জানান, প্রতিদিন সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও হাটবাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় মারিখালি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদের পানিপ্রবাহ গতিশীল করা এবং পুনর্খননের মাধ্যমে নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া দূষণ রোধে ও নদ রক্ষায় মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ময়লার ভাগাড়ের পাশে সাইনবোর্ড ও ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, মারিখালি নদ দখল ও দূষণমুক্ত করতে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা