মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ও ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
- ছাগলনাইয়া-পরশুরাম (ফেনী) সংবাদদাতা
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফেনীর পরশুরামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ এবং ছাগলনাইয়ায় ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, ভারত সীমান্তবর্তী মুহুরী নদীর তীববর্তী পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে-রাতে কেটে নেয়া হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এভাবে মাটি কাটার কারণে বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে আসা উজানের পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের মাটি কেটে ফেলায় গত বছর মুহুরী নদীর একাধিক স্থান ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের কাউতলী ও নিজকালিকাপুর এলাকায় রাতের আঁধারে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
অপরদিকে, ছাগলনাইয়ায় দেদারসে কৃষি জমির মাটি কাটা চলছে। স্থানীয়দের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার অর্ধশতাধিক স্থানে মাটি কাটা হচ্ছে।
সরেজমিন উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন, রাধানগর, পাঠাননগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দিনে-রাতে একটি সঙ্ঘবন্ধ চক্র ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটার কাছে বিক্রি করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পরও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি শুধু মাটিখেকো ব্যক্তিদের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে।
দীর্ঘ বছর ধরে ছাগলনাইয়ায় মাটি কাটার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ও উচুঁ ভূমি আরো নিচু সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার একাধিক কারণের মধ্যে ফসলি জমির মাটি কাটাকে দায়ী করছেন অনেকে। প্রতিদিন ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ফসলি কাটা নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পুকুর থেকেও মাটি কাটতে দেখা গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, জমির টপ সয়েল কাটার ফলে ফসলি জমিগুলো উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি অন্য জমির ওপর দিয়ে স্ক্যাভেটর ও মাটি বহনকারী পিকআপ ভ্যান থেকে সড়কে মাটি পড়ে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
গত সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবু দাশ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দু’টি এক্সেভেটর জব্দ করেন। গত কয়েকদিনে ভ্রাম্যমান আদালত ফসলি মাটি কাটার দায়ে দু’টি এক্সেভেটর জব্দ ও দুই লাখ তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাশ সুমিত জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাটি কাটার অনেক অভিযোগ আসছে প্রশাসনের কাছে। কিন্তু জনবল সঙ্কটে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা