১৬ বছরেও শেষ হয়নি মূল ভবনের নির্মাণকাজ
কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- রিয়াদ মাহমুদ সিকদার কাউখালী (পিরোজপুর)
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবনের নির্মাণকাজ ১৬ বছরেও শেষ হয়নি। প্রথম দফায় টেন্ডার হওয়ার পর প্রায় দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি ছয় তলা বিশিষ্ট হাসপাতালের মূল ভবনের নির্মাণকাজ। কাজ ফেলে রাখার কারণে অন্য ভবনগুলোর ছাদের লাখ লাখ টাকার রডসহ নষ্ট হচ্ছে অন্যান্য মালামাল।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও ডাক্তার সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। দুইজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা। ভবন সঙ্কটের কারণে যোগদান করতে পারছেন না কোনো ডাক্তার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার চিকিৎসকদের পদায়ন করলেও নানা অজুহাতে যোগদান করছেন না কেউ। উল্লেখ্য কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন ১৭ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ২০০৮ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর টেন্ডারের মাধ্যমে বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস নূর-ই এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়। নানা অনিয়মের কারণে সামান্য কিছু কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত বিল উত্তোলন করে চলে যায়।
পরবর্তী সময় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকার বরাদ্দের কাজটি ২০২২ সালে মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ বরিশালের অনুকূলে এইচইডি কর্তৃপক্ষ কার্যাদেশ প্রদান করে। এই কাজটি ২০২৩ সালের ২৩ জুনের মধ্যে শেষ করার আদেশ দেয়া হয়। অথচ তারা ডাক্তার, নার্সদের আবাসিক ভবনের আংশিক কাজ ও হাসপাতালের মূল ভবনের কিছু পাইলিং পিলার তৈরি করে কাজ বন্ধ করে দেন। মোট কাজের মাত্র ১৬ ভাগ কাজ করে তারা বাকি কাজ ফেলে রাখেন বলে জানান পিরোজপুরের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার হোসেন।
পরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ সমাপ্ত করার জন্য দফায় দফায় লিখিত নোটিশ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। চাপের মূখে ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঠিকাদারকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য সর্বশেষ সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেই আদেশ আমান্য করলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে। পরবর্তীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাইকোর্টে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে মর্মে সেই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন। যার ফলে এই কাজের সব কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার হোসেন জানান, আদালতের নিদের্শনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা