৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকো
- আছমত আলী, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ও ভলাকুট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ মাত্র একটি বাঁশের সাঁকো। সেই একটি সাঁকো দিয়েই বেমালিয়া নদী পার হতে হয় এলাকাবাসীর। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে, কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে সেই আতঙ্ক নিয়ে পারাপার হয় সবাই। স্বাধীনতার পর থেকে এভাবেই ভোগান্তি নিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছেন এলাকার হাজারো মানুষ।
উপজেলার চাতলপাড় বাজার, চকবাজার ও ইউনিয়নের উত্তরপাশ দিয়ে বয়ে চলা মেঘনা নদী এবং ইউনিয়নের বুক চিড়ে বয়ে চলা বেমালিয়া নদীর কারণে নাসিরনগর উপজেলা থেকে চতলপাড়ের সাথে যোগাযোগের একটিই উপায়, সেটা হলো একটি বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পার হওয়া গেলেও কোনো যানবাহন চলতে পারে না।
স্রোতের কারণে খেয়া দিয়ে পারাপার সম্ভব না বিধায় খেয়ার মাঝির উদ্যোগে ওই খালের ওপর দুইশত মিটার বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন। বাঁশের সাঁকো তৈরির মালিককে জনপ্রতি ৫ টাকা দিয়ে সাঁকোটি পার হতে হয়। নদীর দুই পাড়ে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে স্থানীয়দের আক্ষেপ- বাঁশের সাঁকোটি পার হতে বৃদ্ধ ও শিশুরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হন।
এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বাঁশেল সাঁকোর ওপর দিয়ে যান চলাচল করতে পারে না বলে স্থানীয় চাষিদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেমালিয়া নদীর ওপর কোনো পাকা ব্রিজ না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন শেষ হলে সেটি বেমালুম ভুলে যান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুর কাসেম বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের সাবেক সংসদ সদস্যরা এসে ব্রিজ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু ব্রিজ করে দেননি তারা।
চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ব্রিজ নির্মাণে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাহ আলম বলেন, এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদন হলে সেতু নিমার্ণের কাজ শুরু হতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা