বুড়িচংয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খানাখন্দ, চালক ও যাত্রীরা নাকাল
- কাজী খোরশেদ আলম, বুড়িচং (কুমিল্লা)
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭
দেশের লাইফ-লাইন খ্যাত জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ফোর লেনের উভয়পাশের্^ অসংখ্য খানাখন্দ বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কখনো নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে গতি কমানো হচ্ছে, কখনো এসব খানাখন্দে পড়ে বিকল হচ্ছে তাদের যানবাহন। কয়েক মাস ধরে এই দুর্ভোগ চললেও সংস্কার করা হচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি আমদানি-রফতানির পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনেও দেশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সাথে যাত্রীপরিবহন, পর্যটনেও এই মহাসড়ক ব্যবহার হচ্ছে। দেশের বাণিজ্যের একটা বিশাল অংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে হচ্ছে। এ জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে উৎপাদিত তৈরি কাপড়সহ বিভিন্ন দেশীয় পণ্য রফতানি করতে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। একইভাবে বিদেশ থেকে আমদানির বেশিরভাগ পণ্যই এই বন্দর দিয়ে আসে। যা পরে সড়কপথেই ঢাকা, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, বৃহত্তর সিলেটসহ সারা দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সড়কটিই এসব পরিবহনের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম।
বিগত আগস্ট পরবর্তী বন্যায় সড়কটিতে বেশকিছু খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এ সময় পাথরের নির্মিত দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল এই সড়কটির খানাখন্দ ইটের খোয়া ফেলে সংস্কার করলেও সেটা অল্প সময়ে আবারো পূর্বেও অবস্থায় ফিরে আসে। ফলে দিনদিন মহাসড়কের ফোর লেনের কুমিল্লা অংশের ময়নামতি সেনানিবাসের পূর্ব অংশের নিশ্চিন্তপুর, আমতলী, আলেখারচর এলাকার ঢাকা ও কুমিল্লাগামী দুই অংশেই দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মহাসড়কের উল্লেখিত স্থানগুলোতে আসার পর যানবাহনের গতি ধীর হয়ে পড়ে।
এ ছাড়াও মাঝে মাঝে পণ্যবোঝাই বিভিন্ন ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ ভারী যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে সড়কের ওপরেই। এতে ছোটখাটো যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কে চলাচলকারী একাধিক গাড়িচালক জানান, পণ্য নিয়ে এই স্থানটি পারাপারে চরমঝুঁকি নিতে হচ্ছে। যেকোনো সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে অচল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ ছাড়াও যাত্রীবাহী একাধিক বাসের চালক জানান, অনেক যাত্রী নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে যেমন বিলাসবহুল বাসগুলোতে ভ্রমণ করেন, তেমনি বাস যাত্রীদের পাশাপাশি মালিক বা পরিবহন কোম্পানিগুলোও একটা নির্দিষ্ট সময়ে একস্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে সময় বেঁধে দেয়। কুমিল্লার এই অংশটিতে দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দগুলো সংস্কার না হওয়ায় আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও যান্ত্রিক ত্রুটিতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে পরিবহন মালিকদের সাথে চালকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়।
উল্লেখ্য, এই সড়কপথে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাকি জেলাগুলোতে যাতায়াত করা হয়। সড়কটির সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, অচিরেই সড়কটি সংস্কার করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা