সরিষা ক্ষেত যেন হলুদ চাদরের বিছানা
মধু সংগ্রহে ৬ হাজার ৩২০টি মৌ-বক্স স্থাপন- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জামালপুরে দিগন্ত জোড়া সরিষা মাঠ ফুলে ফুলে পাল্টে দিয়েছে প্রকৃতির দৃশ্যপট। যেন হলুদ শাড়ি পরেছে প্রকৃতি। জেলার ইসলামপুর মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলায় এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে।
ভেজা ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীতের সকাল সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে মুগ্ধ করছে। সরিষা ফুলের মিষ্টি গন্ধ আর মধু আহরণে সদা ব্যস্ত মৌমাছিদের গুনগুন শব্দ প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত।
গ্রাম বাংলার বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষার মনোমুগ্ধকর অপূর্ব চিত্র পথচারীর কনছের ক্যামেরাবন্দী। সরিষা ফুলের অপূর্ব দৃশ্য কৃষকরা যেমনি বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি আনন্দিত মধু চাষিরাও।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলায় ৪৬ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সরিষা চাষে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও গত বছরের চেয়ে ২৬ হেক্টর বুদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৪১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। স্বল্প সময়ের লাভজনক ফসল এটি। মাত্র দুই মাসের মাথায় কৃষকরা সরিষা ঘরে তুলতে পারেন।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এল এম রেজোয়ান জানান, এ বছর উপজেলায় ছয় হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। ১৪টি স্পটে দুই হাজার ২০০ মৌ-বক্স স্থাপন করেছে মধু সংগ্রহকারীরা। মধু সংগ্রহের এ ধরনের উদ্যোগ সরিষার পরাগায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এতে ফলনও বৃদ্ধি পায়।
উপজেলার ইসলামপুর-গুঠাইল সড়কের বানিয়াবাড়ি এলাকায়, তিনটি স্পটে চার শতাধিক মৌ-বাক্স স্থান করেছে মধুচাষিরা। তাদের একজন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ও কৃষি অফিসের সহায়তা মধু সংগ্রহে আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
সদর উপজেলার কেন্দুয়াকালি বাড়ির মহুয়াডাঙা গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম, কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। এ কারণে সরিষা চাষে এতো আগ্রহ সবার। সরিষা ক্ষেতে একবারের বেশি সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় এ বছর সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে সাত হাজার এক শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-৯, বিনা-৯/১০, সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) ও স্থানীয় টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে গত বছরের চেয়ে সরিষার ফলন বেশি হয়েছে। মৌ-চাষিদের মধু সংগ্রহের কারণে সরিষার ফলন বৃদ্ধির পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা