একই ব্যক্তিকে ৩ রকমের ওয়ারিশ সনদ প্রদান
- গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ শেখের বিরুদ্ধে একই ব্যক্তিকে তিনটি তিন রকমের ওয়ারিশ সনদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলার পার ঝনঝনিয়া গ্রামের বন্দে আলী শেখ ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে টুুঙ্গপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ১২ ডিসেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী বন্দে আলী শেখ জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনিত ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ শেখ অর্থের বিনিময়ে আমার ভাতিজা শাহারিয়ার নেওয়াজকে তিন বার তিন রকমের ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেছেন। প্রথমে শাহারিয়ার নেওয়াজকে ২২ সালের ২৮ মে দুইজন ওয়ারিশ বাদ দিয়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন। ওই ওয়ারিশ সনদ দিয়ে ২২ সালের ৩ আগস্ট আমার ভাতিজা তিনটি নামজারি করে। ২২ সালের ২৯ অক্টোবর তিনজন ওয়ারিশ বাদ দিয়ে ওই চেয়ারম্যান একই ব্যক্তিকে ২য় ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন। এতে আমরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। বাধ্য হয়ে গত ২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সঠিক ওয়ারিশ সনদ প্রদানের জন্য আমি গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ২৭ এপ্রিল চেয়ারম্যান ৩য় ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন।
একই ব্যক্তির নামে তিন বার তিন রকমের ওয়ারিশ সনদ প্রদান করায় টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করলে কমিশনার বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ ও ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চেয়ারম্যানকে দায়ী করে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন এবং জাল ওয়ারিশ সনদ দিয়ে নামজারিকৃত সব সম্পত্তির নামজারি বাতিল করেন।
ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওয়ারিশ সনদ তিনটি তার স্বাক্ষরিত নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা