নলছিটিতে সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই
অন্তত ৭টি সেতু পার হতে হয় মই বেয়ে- ঝালকাঠি প্রতিনিধি ও নলছিটি সংবাদদাতা
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪
ঝালকাঠির নলছিটিতে সেতু আছে কিন্তু নেই সংযোগ সড়ক! তাই সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার অন্তত সাতটি সেতু ব্যবহার করে কয়েক হাজার মানুষ এভাবেই যাতায়াত করেন। সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এটা অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয় বলছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার সরমহল হাশেমিয়া মাদরাসার সামনে গেলেই চোখে পড়ে একটি চিত্র। সংযোগ সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুর পাশে পুরাতন সাঁকো ও মই বেয়ে যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এলজিইডির তথ্য মতে, দুই কোটি ৮৮ লাখ ৬২২ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ৭ জুলাই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করলেও অদ্যাবধি সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়নি। একই চিত্র বাইতারা স্কুলের সামনের সেতুটিরও। ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫২ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০ মিটার সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও নির্মিত হয়নি সংযোগ সড়কটি।
এমন ঘটনা সূর্যপাশা তালুকদার বাড়ির পাশে, সুবিদপুর হারুন অর রশিদ কলেজের কাছে, ফয়রা মাদরাসা, জোর আরোবুনিয়া সিরাজ মুন্সীর বাড়ির সামনে ও রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের খালের ওপর নির্মিত সেতুগুলোতেও। সেতুগুলোয় সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। বিগত কয়েক বছর আগে এসব সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শেষ হয়।
স্থানীয়রা সেতু পারাপারের জন্য নিজস্ব প্রচেষ্টায় মই তৈরি করে নিয়েছেন। সংযোগ সড়কবিহীন সেতুগুলো স্থানীয়দের কোনো কাজেই আসছে না। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। বর্ষা মৌসুমে তাদের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইকবাল কবির শিগগিরই সঙ্কট সমাধানে সেতুর কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সেতুগুলো তদন্ত পূর্বক দ্রুত চলাচল উপযোগী করার আশ্বাস দিলেও তা কবে নাগাদ কাজ শুরু বা শেষ হবে সে কথা বলতে রাজি হননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা