দুর্গম পাহাড়ে শীতে কাঁপছে মানুষ
আগুন জ্বালিয়ে নিবারণের চেষ্টা- নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) সংবাদদাতা
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪
শীত জেঁকে বসেছে পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে; এখানকার জনজীবন এখন বিপর্যস্ত। শীতের তীব্রতায় উপজেলার দুর্গম পার্বত্য এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের জবুথবু অবস্থা।
এ ছাড়া শীতজনিত কারণে সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের স্কুলপাড়া, ধুংড়ী হেডম্যানপাড়া, যৌথ খামার, লেকপাড়া, মসজিদ ঘোনা, আদর্শ গ্রাম, বিছামারা, চাকপাড়া, চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, দৌছড়ি ইউনিয়নের গুরান্নাকাটা, তুলাতুলী, লেমুছড়ি, পাইনছড়ি, কুরিক্ষং, সোনাইছড়ির জুমখোলা, বধ্যার ছড়া, ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাইশ ফাড়ি, তুমব্রু, ফাত্রাঝিরি, বাইশারী ইউনিয়নের আলিক্ষ্যং, বাজার পাড়াসহ সর্বত্র শীতের তীব্রতা। শীতে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম চালাতে পারছেন।
বাইশারী ইউনিয়নের চড়ই মুরুং পাড়ার পাহাড়ি নারী নেংলে মুরুং বলেন, আমাদের পাড়ার সবাই গরিব। চাহিদামতো শীতের কাপড় কেনা সম্ভব হয় না কারোরই। আমরা অপেক্ষায় থাকি সরকারের অথবা অন্য কোনো সংস্থার শীতবস্ত্র বিতরণের অপেক্ষায়।
আরেক পাহাড়ি নারী ওখাইনু মারমা বলেন, অন্যবারের চেয়ে এ বছরে বেশি শীত পড়েছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে আমরা রাতে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিই। নতুন চাকপাড়ার বাসিন্দা উপজাতীয় নেতা চাইলা থোয়াই চাক জানান, তীব্র শীতে সীমান্ত এলাকায় ও পাহাড়ে বসবাসরত লোকজনের মধ্যে কম্বল বিতরণ জরুরি হয়ে পড়ছে। বিত্তবানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা জরুরি। এ দিকে শীতজনিত কারণে উপজেলায় ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে খুব শিগগিরই শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ
করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা