নাসিরনগরে দেশীয় মাছের শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত জেলেরা
- আছমত আলী নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরবেষ্টিত নাসিরনগরের জেলেরা এখন শুঁটকি উৎপাদনের ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের উৎপন্ন দেশীয় মাছের শুঁটকির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাচায় শুঁটকি উৎপাদনে জেলেরা বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সদর ইউনিয়নের গাঙ্কুলপাড়া লঙ্গন নদীর তীরঘেঁষে তৈরি হচ্ছে শুঁটকি তৈরির মাচা। দেশীয় নানা জাতের মাছ এসব মাচার ওপর বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুকানো হচ্ছে। শুঁটকি তৈরিতে এখানে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক রাতদিন কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক।
কোনো ধরনের কীটনাশক ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় বলে এখানকার শুঁটকির সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এখানে এসে শুঁটকি নিয়ে যায়। উপজেলার বিল বালিঙ্গা, মেদীর বিল, আটাউরী, উত্তরবাল্লা ও লঙ্গন নদী, আগাইয়া হাওর, শাপলা বিল, আকাশি বিলের মিঠাপানির মাছ যেমন: শৈল, গজার, চান্দা, পুঁটি, গোলসা, টেংরা, বোয়াল, বাইম, বাইলা, আলুনি, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ দিয়ে তৈরি হয় এসব শুঁটকি।
শুঁটকি ব্যবসায়ী হরলাল দাস বলেন, এ আবহাওয়ায় শুঁটকি ভালো হচ্ছে। এ ব্যবসায় জড়িত জেলেরা অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। বছরের আশ্বিন মাস থেকে শুরু করে মাঘ মাস পর্যন্ত এখানে শুঁটকিকে কেন্দ্র করে এখানে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার শত শত নারী-পুরুষ। শুঁটকি ব্যবসায়ী ছিদ্দিক মিয়া বলেন, আমরা এক মৌসুমে গড়ে ১২-১৫ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করি এখানে। আমাদের উৎপাদিত শুঁটকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভিন দেশেও যায়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন বলেন, শুঁটকি ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কীভাবে শুঁটকি তৈরি করবেন সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য আমরা একটা তালিকা প্রণয়ন করেছি। আশা করছি এ থেকে ভালো সুফল পাবেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা