সম্ভাবনাময় ভ্রমণস্পট সোনাদিয়া দ্বীপ
- মুহাম্মদ তারেক মহেশখালী (কক্সবাজার)
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯
মহেশখালি উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্গত ৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। পরম করুণাময়ের এক অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত ভূমি- এই সোনাদিয়া দ্বীপ। কৈতরেরদিয়া নামে ছোট্ট একটিখাল সোনাদিয়া দ্বীপকে মহেশখালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এই দ্বীপটি শুঁটকির জন্য বিখ্যাত। সোনাদিয়ার তিন দিকেই সমুদ্র সৈকত। এখানে আছে ছোট ছোট খালের সমন্বয়ে প্যারাবন, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি ও বিচিত্র প্রজাতির পাখি। মাত্র শত বছর আগে সোনাদিয়া দ্বীপে মানব বসতি গড়ে ওঠে। জীববৈচিত্রের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করেন। এখানে রাত্রিযাপনেরও ব্যবস্থা আছে।
সোনাদিয়া দ্বীপে যেতে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে। কক্সবাজার ৬ নং ঘাট থেকে জনপ্রতি ৯০ টাকা ভাড়ায় স্পিডবোটে মহেশখালী পৌঁছতে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। মহেশখালী ঘাট থেকে ২০ থেকে ২৫ টাকার রিকশা ভাড়ায় গোরকঘাটা বাজার, সেখান থেকে ১৮০ টাকা ভাড়ায় যেতে হবে ঘটিভাঙ্গায়। ঘটিভাঙা থেকে ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল হয়ে কৈতরেরদিয়া খাল পারি দিলেই সোনাদিয়া দ্বীপ।
প্রতিদিন জোয়ারের সময় পশ্চিম সোনাদিয়া থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত মাত্র একবার একটি ট্রলার ছেড়ে আসে। আর এই ট্রলারটিই কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীদের তুলে নিয়ে আবার ফিরতি যাত্রা করে। প্রতিজনের ভাড়া ৩০ টাকা। ঘটিভাঙ্গা থেকে সোনাদিয়া দ্বীপে প্রতিদিন জোয়ার-ভাটার সময়ের ওপর নির্ভর করে বোটের যাওয়া-আসার সময়। তবে, কক্সবাজার থেকে সরাসরি স্পিডবোট রিজার্ভ করেও সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়া যায়।
পর্যটকদের থাকা ও খাওয়ার জন্য সোনাদিয়া দ্বীপে উন্নতমানের হোটেল বা রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা নেই। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় কিছু তরুণ উদ্যোগ নিয়ে দ্বীপে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
যারা সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রিযাপন করেন, তারা সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তকে দেখতে পাবেন। সে এক অপরূপ দৃশ্য। সৃষ্টিকর্তা যেন দ্বীপটিকে অপরূপ সোভায় সাজিয়ে রেখেছেন। তাই, সবচেয়ে ভালো হয় অন্তত দুইদিনের সময় নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপ ও মহেশখালী দ্বীপের দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা।