১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চৌগাছায় গোখাদ্যের তীব্র সঙ্কট, বিপাকে খামারিরা

মাঠে ঘাস নেই খৈল ও ভূষির মূল্য বৃদ্ধি
-

মাঠে এখন আর আগের মতো নেই ঘাস। বাজারে খৈল ও ভূষির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। বিচালী-খড় সঙ্কট, খুদ, কুড়া, খৈল ও ভূষির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অঞ্চলে গো-খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামার মালিকরা। গবাদিপশু বাঁচিয়ে রাখতে প্রান্তিক খামারিরা দিনভর বনবাদাড় থেকে লতা-পাতা ও ডোবা খাল থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করতে সময় পার করছেন। কেউ কেউ রিকশাভ্যান ভাড়া করে, কেউবা পায়ে হেঁটেই দূর-দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করছেন বন-বাদাড়ের লতা-পাতা ও খাল-বিলের কচুরিপানা।
স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর অসময়ে অতিবৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিলে-মাঠে ঘাস নেই। কিছু কিছু এলাকায় খড়-বিচালী পাওয়া গেলেও প্রান্তিক গবাদিপশু পালনকারীদের হাতের নাগালের বাইরে তার দাম। বাজারে বিক্রি করা গো-খাদ্যের দামও আকাশচুম্বী।
বিছালী ব্যবসায়ী পৌর এলাকার বিল্লাল হোসেন ও পুড়াপাড়া গ্রামের আবু মুছা খা জানায়, অন্যান্য বছর আমাদের এলাকা থেকে ট্রাক বোঝাই করে বিচালী সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন এলাকায়। উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, আমার একটা গাভীর পেছনে দৈনিক ৫০০ টাকা খরচ হয়। ৩৫ কেজি ওজনের এক বস্তা ভূষির দাম দেড় হাজার টাকা। গো-খাদ্য সঙ্কটে এলাকার অনেকেই নিজের পালের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।
স্বরুপদাহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি মাঠে একখণ্ড জমিতে নেপিয়ার ঘাসের চাষ করেছিলাম। কিন্তু সে ঘাসেও এখন কুলাচ্ছে না। একটি গরুর বাছুর বিক্রি করার জন্য গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপারীদের পিছে ঘুরছি। কিন্তু কেউ কিনছে না।
উপজেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা: আনারুল করিম বলেন, গো-খাদ্য সঙ্কটের প্রধান কারণ এবারের অতিবৃষ্টি। আউশ ধান না হওয়ায় গাভী পালনকারীরা বিচালী-খড় সংগ্রহ করতে পারেননি। বরাদ্দ না থাকায় সরকারিভাবেও কোনো খামারিকে গো-খাদ্য দেয়া সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement