১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সোনারগাঁওয়ে সেতু ভেঙে যানচলাচল বন্ধ, ১৫ গ্রামবাসীর ভোগান্তি

শম্ভুপুরার চেলারচর-নবীনগর সড়কের ভেঙে যাওয়া সেতু : নয়া দিগন্ত -

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে যাওয়ায় দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অথচ দেখার যেন কেউ নেই।
উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের খালের ওপর দিয়ে নির্মিত সড়কের মূল সেতুটি ভেঙে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেননি। দুর্ভোগের কথা জানিয়ে সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে জনসাধারণকে এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেতুটি ভেঙে একদিকে ঝুলে রয়েছে। সেতুর নিচের পিলারটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকায় সেখানে বাঁশ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। অনেকেই এই বাঁশ বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে এপার ওপার হচ্ছে। কিন্তু রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজিসহ কোনো যানবাহনই চলাচল করতে পারে না। অথচ এলাহীনগর, নবীনগর, শম্ভুপুরা, ফতেপুর, ইসলামপুর, দড়িগাঁও, দশদোনা, নয়াগাঁও, চেলারচর ও হোসেনপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কের দুই পাশে কৃষি জমি থাকায় কৃষকরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন এই সড়ক পথেই।

জানা যায়, চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে ৩২ বছর আগে ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মাণ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। দুই কিলোমিটারের মাঝামাঝি স্থানে সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই স্থানীয়রা সড়কটির সুফল ভোগ করে যাচ্ছিল। তবে পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আবার দুর্ভোগ নেমে আসে স্থানীয়দের মাঝে।
চেলারচর গ্রামের লোকমান মিয়া জানান, সেতুটির কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই নবীনগর হয়ে নারায়ণগঞ্জ যাওয়া যেত। সেতুটি ভেঙে পড়ায় উল্টো পথে নারায়ণগঞ্জ যেতে হয়। এলাহীনগর গ্রামের ৬০ বছরের বৃদ্ধ আছিরুন নেছা বলেন, গাড়ি চলাচল না থাকায় এতোটা পথ হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিতে হয়।
শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেদ আলী মেম্বার জানান, চেলারচরের সড়ক এবং ব্রিজের কাজের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে আমার কথাবার্তা শেষ হয়েছে। শিগগিরই কাজ ধরা হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর প্রকৌশলী রেজাউল হক জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য আমরা ইতোমধ্যে হেড অফিসে লিখিত আবেদন দিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement