অতিরিক্ত দামে কিনছেন কৃষকরা
- গোলাম কিবরিয়া বরগুনা
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় এবার আলু বীজের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে করে বেশি দামে বীজ কিনে জমিতে রোপণ করতে হচ্ছে আলু চাষিদের।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে প্রতি বছরই আলুর ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর বরগুনায় ৯৭৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর, পাথরঘাটায় ৫৪০ হেক্টর, বামনায় ৩৫ হেক্টর, বেতাগীতে ১২৮, আমতলীতে ৬২ এবং তালতলীতে ৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জেলায় মোট এক হাজার মেট্রিক টন আলু বীজের চাহিদা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫৯ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা।
বর্তমানে বরগুনায় আলু বীজের তীব্র সঙ্কটে পড়েছেন কৃষকরা। তারা অগ্রিম টাকা দিয়েও চাষের জন্য পর্যাপ্ত বীজ পাচ্ছেন না। এ ছাড়া বরগুনা জেলায় কোনো কোল্ডস্টোরেজ না থাকায় আলু বীজ উৎপাদনও করতে পারছেন না তারা। তবে এ সঙ্কট নিরসনের পাশাপাশি সিন্ডিকেট ভাঙতে চেষ্টা চলমান আছে বলে দাবি করছে কৃষি বিভাগ।
পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের বিভিন্ন আলুক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ক্ষেত প্রস্তুতসহ বীজ বপনে ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের। নারী-পুরুষ একত্রে মিলে তারা ক্ষেত প্রস্তুত করছেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় মণপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা বেশি দরে বীজ কিনতে হচ্ছে স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে।
কালমেঘার আলু চাষি ইব্রাহিম বলেন, এ বছর আলুর বীজের দাম ব্যাপক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ডিলাররা। এ গ্রেড বীজপ্রতি বস্তা কোম্পানির মূল্য তিন হাজার ৪৮০ টাকা এবং বি গ্রেড বীজপ্রতি বস্তা তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু ডিলারদের থেকে তা কিনতে হচ্ছে চার হাজার থেকে চার হাজার ৭০০ টাকায়। ফলে প্রতি বস্তায় তাদেরকে ১২০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।
একই এলাকার আরেক আলু চাষি আবদুল জলিল বলেন, জমি প্রস্তুত করার পর আলু বীজ সংগ্রহ করতে ডিলারের কাছে গিয়ে শুনি বীজ নেই। যা আছে, দাম অনেক বেশি। আবার কম দামে যে বীজ পাওয়া যায়, তার মান ভালো না। যেহেতু ক্ষেত প্রস্তুত হয়ে আছে, এখন বাধ্য হয়েই বেশি দামে আলুবীজ কিনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো: জোবায়দুল আলম বলেন, বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে পাথরঘাটায় আলুর চাষ বেশি হয়। এ কারণে এখানে আলু বীজের চাহিদা বেশি। আশা করি, যে লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা