মংলা মামারঘাটের খেয়াঘাট বেহাল, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
- সেকান্দার আলী মংলা (বাগেরহাট)
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সংস্কারের অভাবে মংলার মামারঘাটের খেয়াঘাটটি যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন শত শত মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে। বিশেষ করে নদীভাঙনের কারণে ঘাটের রাস্তাটি বিলীন হওয়ায় এমন বেহাল দশা হয়েছে ঘাটটির। দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে ঘাটটি পারাপারের উপযোগী করার দাবি স্থানীদের।
যাত্রী ও ঘাট সমিতির সদস্যদের আশঙ্কা দ্রুত খেয়াঘাটটি মেরামত না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মংলা উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে মামারঘাট খেয়াঘাট। এ ঘাটটি বাসস্ট্যান্ড, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, মংলা ইপিজেডসহ কর্মজীবীদের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন পৌর শহরের মামারঘাটের খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটটির বেহাল দশা। নদী ভাঙনের কারণে ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীতে ওয়াপদা রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙে গেছে। অবশিষ্ট যে অংশ আছে, তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ, মোটরসাইকেল ও ভ্যান খেয়াট্রলারে উঠছে।
তা ছাড়া সরু রাস্তার ওপর দিয়ে খেয়া ট্রলারে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মোটরসাইকেল এবং ভ্যান চালকদের। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।
খেয়া পার হতে আসা রবিউল বলেন, সরকার এখান থেকে প্রতি বছর রাজস্ব আয় করে থাকে। ঘাটটির উন্নয়নে কারও মাথাব্যথা নেই। প্রতিদিন হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাট দিয়ে নদীপার হয়। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোটরসাইকেল চালক জুয়েল বলেন, ঘাটের মংলার পাড়ের অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে দুই পাড়ের ঘাট দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে উঠানামা করতে বেশি অসুবিধা হয়। ঘাটটির সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।
মাঝি সেলিম বলেন, প্রতিদিন এ খেয়াঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। ঘাটটির অবস্থা খুবই নাজুক।
পার হওয়ার সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মংলা পোর্ট পৌরসভার প্রশাসক আফিয়া শারমিন বলেন, খেয়াঘাটটির অবস্থা খুবই খারাপ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা